অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে শরীরে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়। প্রভাব পড়ে স্নায়ুতেও। হাত-পা মাঝেমাঝেই অবশ হয়ে যাওয়া, ঝিন ঝিন করা হাত পায়ের তলা জ্বালা করে। হাঁটতে গেলে পায়ের তলায় সাড় নেই, পায়ের পাতা যেন ভারি হয়ে আছে। এ সমস্তই হতে পারে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির লক্ষণ।
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হল একটি স্নায়ুবিক ব্যাধি। দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ ডায়াবেটিস থাকলে করোটিক স্নায়ুগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্নায়ুর উপর ডায়াবেটিসের প্রতিক্রিয়াজনিত প্রভাব। অনিয়ন্ত্রিত অথবা অনিয়মিতভাবে নিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে ১০-১৫ বছর সময়ের মধ্যে এই রোগ হয়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের মধ্যেই হতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে চার ধরনের ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির সমস্যা দেখা যায়। পেরিফেরিয়াল নিউরোপ্যাথি, অটোনমাস নিউরোপ্যাথি, প্রোক্সিমাল নিউরোপ্যাথি ও মনো নিউরোপ্যাথি।
কঠোরভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায়। নিউরোপ্যাথির সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলেই উচিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। বিভিন্ন রকম থেরাপির মাধ্যমেও সুস্থ হয়ে ওঠা যায়, তবে মূলমন্ত্র একটাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ।
আনন্দলোক হসপিটালে বিশেষজ্ঞ ডায়াবেটোলজিস্ট আছেন ডায়াবেটিস সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য। এ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য পাবেন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং হেল্পলাইনে।