জরায়ুর মুখের ক্যানসারকে বলা হয় নীরব ঘাতক। আক্রান্ত হলেও শুরুতে রোগের লক্ষণ দেখা যায় না। সারা পৃথিবীতেই দিনদিন মহিলাদের মধ্যে এই ক্যানসারের হার বাড়ছে।
দেশ জুড়ে মহিলাদের মধ্যে যত ধরনের ক্যানসার দেখা যায়, তার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে সারভাইকাল ক্যানসার বা জরায়ুমুখ ক্যানসার রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রতি বছর বাড়ছে এই হার। এই মুহূর্তে ভারতে গড়ে এক লক্ষেরও বেশি নারী এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
এইচপিভি-র হানাতে এই মারণরোগ বাসা বাঁধে শরীরে। তবে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করা ছাড়াও জরায়ুমুখ ক্যানসারের আর একটি বড় কারণ অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক।
ঋতুচক্রের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ, যৌনমিলনের সময়ে প্রবল যন্ত্রণার সঙ্গে রক্তপাত, তলপেট, কোমরে দীর্ঘ দিন ব্যথা এই ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ। শুরুতে অনেকেই আর এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে অনেকেই ঋতুজনিত সমস্যা বলে ভুল করে থাকেন।
দুই ধরনের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের কারণে এই ক্যানসার হয়ে থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের পরপরই কিন্তু ক্যানসারের আক্রমণ হয় না। জীবাণু প্রবেশের পর ১৫ থেকে ২০ বছরও সময় লাগে জরায়ুমুখের ক্যানসার দেখা দিতে পারে। তার মানে হলো এটি নির্ণয়ে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট দেশের অন্যতম সেরা ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র। একখানকার ওঙ্কলজি বিভাগে আধুনিকতম পদ্ধতিতে ক্যানসার নিরাময় করা হয়। আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম। ক্যানসার সংক্রান্ত চিকিৎসার তথ্যের জন্য ভিজিট করতে পারেন প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে।