সারা পৃথিবী তাঁকে চেনে ‘ব্যাঙ্কসি’ নামে। গ্রাফিটি আর্টকে তিনি অন্য মাত্রা দিয়েছেন। সম্প্রতি আবার উঠে এলেন খবরের শিরোনামে। সব সময় সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় উঠে এসেছে তাঁর তুলিতে। এবার ঘর ছাড়া মানুষদের সংকটকে তুলিতে ধরলেন শিল্পী। ক্রিসমাস কার্নিভালের আনন্দে ভেসে যাওয়ার আগে ‘হোমলেস’ মানুষদের বিপন্নতা যেন দুনিয়া ভুলে না যায়।
উঠে এসেছে রায়ন নামে এক ঘরহীন মানুষের জীবনের নির্মম মুহূর্ত।
স্টেনসিল গ্রাফিটির মাধ্যমে মুর্যালটি করেছেন ব্যঙ্কসি। সেন্ট্রাল ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম এ এক জুয়েলারি শপের দেয়ালে মুর্যালটি দেখা যাচ্ছে। দুটো রেনডিয়ার টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটা স্লেজ গাড়ি। ঠিক সান্তাক্লজের মত দেখতে একজন লোক শুয়ে আছে সেই গাড়িতে। ময়লা জামা। ধূসর, বিবর্ণ। ভালভাবে দেখলে বোঝা যাবে স্লেজ গাড়িটও ঠিক স্লেজ গাড়ি নয়। রাস্তার ধারের লোহার বেঞ্চ।
গত সপ্তাহে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন শিল্পী। ২০ মিনিটের ভিডিও ফিল্মের একটি অংশ পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘গডব্লেস বার্মিংহাম’। মুর্যালটি সামনে সামতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
পোস্ট করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভিউয়ার্স ৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল একজন গৃহহীন মানুশকে রাস্তার মানুষরা হট চকলেট ড্রিঙ্ক, চকলেট বার দিয়ে যায়, এমনকি লাইটারও দিয়ে যায় আগুন জ্বালানোর জন্য। কিন্তু আশ্রয়ের খোঁজ কেউ জিজ্ঞাসা করেনা।
ডার্ক হিউমার এবং ব্যঙ্গ এই তাঁর ছবির বিষয়। আদ্যন্ত রাজনৈতিক ছবি আঁকেন। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল ব্যাঙ্কসিকে কেউ সেভাবে দেখেনি বললেই চলে। ব্যাঙ্কসি কে কেমন দেখতে কেউ জানে না। তবে আন্দাজ করা হয় তিনি বছর ২৮- এর এক তরুণ। জিন্স, টি-শার্ট, একটা দাঁত রূপো দিয়ে বাঁধানো।
কে ব্যঙ্কসি। কেন তিনি তাঁর পরিচয় গোপন রাখতে চান? এটাই অনেকের কাছে মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন। কেউ কেউ আবার মনে করেন ম্যাসিভ অ্যাটাক’ ইলেকট্রিক ‘ব্যান্ড’- এর ‘ফ্রন্টম্যান’ আসলে ব্যাঙ্কসি।
যত টুকু তথ্য মেলে তা থেকে জানা ১৪ বছর বয়সে আঁকা শুরু করেন। তখন স্কুলের ছাত্র। কিন্তু গ্রাফিটি আর্টের জন্য স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কারাবাসও হয়েছিল গ্রাফিটি আঁকার কারণে। যতবার সামনে এসেছেন ততবার মুখ ঢাকা থাকে মুখোশে। তবে তাঁর ছবি নিলাম হয়েছিল। এমনি ‘রিসোল্ড’ হয়েছিল বলেও শোনা যায়।
‘গার্ল উইথ বেলুন’, ‘ওয়ান নেষন আন্ডার সিসিটিভি’, ‘স্লেভ লেবার’, ‘লভ ইস ইন দ্য বিন’ এর মত গ্রাফিটিকে এই সভ্যতার সম্পদ বলে মনে করেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা।
‘