চিকেন পক্স থেকে বাঁচতে কী কী খাবেন?

ঘরে ফেরার সময় হল শীতের। ঠাণ্ডার দাপট কমতে শুরু করলে গায়ে লাগে দক্ষিণের হাওয়া। এ হাওয়া ভারী মিঠে। সরস্বতী পুজো, দোল আর বসন্ত উৎসব দরজায়। কিন্তু এই হাওয়ায় ভর করেই যেন প্রকোপ বাড়ে চিকেন পক্স বা জল বসন্তের। এটি এক ধরণের ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ।

শিরদাঁড়া, কোমর, গা-হাতে ব্যথা, ম্যাচম্যাচে ভাব, হালকা, মাঝারি জ্বরের উপসর্গের পরই ফোস্কায় ভরে যায় গোটা শরীর। তারপর সপ্তাহ জুড়ে ভোগান্তি। ফোস্কা, সংক্রমণ ভাল হয়ে গেলেও বসন্তের দাগ বেশ ভয়ের। মেলাতে সময় নেয়। দুর্বলতা এই রোগের আর এক অনুষঙ্গ। 

96b4da86-41cc-463f-9ab0-8e89c1d7e322

ভেরিসেলা-জোস্টার নামক ভাইরাস থেকে হয় চিকেন পক্স। শুরুতে জ্বর, গা ম্যাজম্যাজ, শরীর কমজোরি হতে থাকে, পেটের গন্ডগোল দেখা দেয় অনেক সময়। ফোস্কা বেরনো আরম্ভ হলে ধীরে ধীরে ভরে যায় শরীর তখন আর বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতা থাকে না। ৭-১০ দিন টানা ভোগান্তি, তারপর সেরে উঠলে ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী বিশ্রাম নিতে হবে ২১ দিন।

ছোটদের থেকে এই রোগে বড়দের বিপদ বেশি।

ফুল, সজনে শাক, নিমপাতা আর করলা পক্স রোধে কাজ দয়েয়। শীতের কমলালেবু আর আমলকি থেকেও ভিটামিন সি-এর মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো যায়।

চিকিৎসকদের মতে এই অসুখ থেকে বাঁচতে ভাল না হওয়া পর্যন্ত রোগীকে হাওয়া-বাতাস চলাচল করে এমন পরিষ্কার ঘরে রাখুন এবং তাঁর ব্যবহৃত সব জিনিসপত্রও আলাদা করুন। রোগীর শ্বাস, হাঁচি-কাশি থেকে ছড়ায় এই অসুখ। সারা শরীরে জল-সমেত ফোস্কা দেখলে সচেতন হন। এই অবস্থায় বাইরে বেরনো একেবারে উচিত নয়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...