জিহ্বায় দাগ কিছুতেই সারছে না? সচেতন হোন

মানবদেহে জিহ্বার দুটি অংশ রয়েছে। একটি ওরালটাং বা জিহ্বা যা আমরা সহজেই দেখতে পাই। জিহ্বার এই অংশ হল জিহ্বার সামনের তিন ভাগের দুই ভাগ। জিহ্বার অন্য অংশকে জিহ্বার ব্যাস বলা হয় অর্থাৎ জিহ্বার পিছনের তিন ভাগের এক ভাগ। জিহ্বার ক্যানসারসাধারণত মুখ ও ওরোফেরিংসকে (মুখের পেছনে গলার অংশ) আক্রান্ত করে থাকে। জিহ্বার পেছনের এই অংশে ক্যানসার হলে তাকে ওরোফেরিনজিয়াল ক্যানসার বলা হয়। জিহ্বায় যে ধরনের ক্যানসার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তা স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা। স্কোয়ামাস সেল মুখের লাইনিংকে আবৃত করে রাখে। স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা বলা হয় এ কারণেই যে, ক্যানসারের শুরু হয় এই সেল বা কোষ থেকে।

ধূমপান, তামাক পাতা সেবন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল এই ক্যানসারের অন্যতম কারণ। ধূমপান ও অ্যালকোহলে মিউকাস মেমব্রেনের ক্রমাগত প্রদাহ হয়। মুখের ঘা, আলসার এমনকি জেনেটিক কারণেও জিহ্বায় ক্যানসার দেখা দিতে পারে।

অনেকদিন ধরে জিহ্বায় দীর্ঘদিন যাবৎ সাদা অথবা লাল প্যাচ বা দাগ, যা কোনওভাবেই নিরাময় হচ্ছে না। জিহ্বায় ক্ষতচিহ্ন,  ফোলাভাব  ব্যথা যোগ হলে সচেতন হওয়া দরকার। জিহ্বায় কোনও গোটা বা দানা অনেক দিন ধরে থাকলে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। কোনও কিছু গিলতে অসুবিধা, জিহ্বায় অবশভাব, গলার স্বরের পরিবর্তন, কথা বলার সময় বা চিবানোর সময় ব্যথা, কোনও কারণ ছাড়া জিহ্বা থেকে রক্তপাত, মুখের অবশভাব কোনওভাবেই নিরাময় না হওয়া-এই সব সমস্যা থাকলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

জিহ্বার ক্যানসারের চিকিৎসানির্ভর করেক্যানসারের আকার এবং ঘাড়ের লিম্ফনোড বা লসিকা গ্রন্থিতে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছে কি-না তার ওপর। ক্যানসার ছড়িয়ে পড়াকে ডাক্তারি ভাষায় মেটাসটেসিস বলা হয়। সার্জারি, রেডিও থেরাপি ও কেমোথেরাপি। যদি জিহ্বার ক্যানসারঅনেক বড় হয়, তবে সে ক্ষেত্রে জিহ্বা অপারেশন করতে হয়  যা গ্লসকটমি নামে পরিচিত।

সরোজ গুপ্ত ক্যানসার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট দেশের অন্যতম সেরা ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র। এখানকার ওঙ্কলজি বিভাগে আধুনিকতম পদ্ধতিতে ক্যানসার নিরাময় করা হয়। আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম। ক্যানসার চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ও বিবরণ পাওয়া যাবে প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...