জ্বর জ্বর ভাব। শরীর দূর্বল। হঠাৎ ফুলে গিয়েছে শরীর, মুখ। বেশ কিছুদিন ধরে এমন সমস্যায় ভুগছিল এক সদ্য কিশোর। গায়ের ফুলোভাব বয়ঃসন্ধির স্বাভাবিক বৃদ্ধি বলে মনে হলেও তার ধরণ যেন খানিক আলাদা।
চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি পরামর্শ দিলেন কিডনি সংক্রান্ত পরীক্ষানিরিক্ষার। শুনে খানিক অবাক হয়েছিলেন কিশোরের অভিভাবকরা। তার রিপোর্টে রোগের নাম এসেছিল ‘নেফ্রাইটিস’।
নেফ্রাইটিস। একসময় আম জনতার কাছে এ রোগের নাম কিঞ্চিৎ অচেনা ঠেকলেও এখন ‘নেফ্রাইটিস’ মোটেই আর অপরিচিত নাম নয়। কিন্তু নেফ্রাইটিস ঠিক কী?
আমাদের শরীরে কিডনি ছাঁকনির কাজ করে। শরীরের দূষিত বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যায়। সেই কাজে ছাঁকনি প্রধান। কিডনিতে যদি কোনও প্রদাহ হয়, তাতে সরাসরি ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ ঘটে। প্রদাহের পর প্রোটিন লিক করে। রক্তের অ্যালবুমিনের মাত্রাটা বেড়ে যায়। শরীরে জল জমে।
কিডনির গ্লোমেরুলাসে নেফ্রাইটিস হলে এটিকে বলা হয় গ্লোমেরুলো নেফ্রাইটিস। কিডনির টুবুলো ইনটারস্টিশিয়াল অংশে হলে, সেটিকে বলা হয় পাইলো নেফ্রাইটিস। নেফ্রাইটিস ক্রনিক এবং অ্যাকিউট হতে পারে।
অ্যাকিউট গ্লোমেরুলো নেফ্রাইটিস শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক যে কারুর হতে পারে। নেফ্রাইটিসের ধরন অনুযায়ী তার চিকিৎসা এবং চিকিৎসার সময়সীমা নির্ভর করে। নেফ্রাইটিস হলে কিডনির স্বাভাবিক কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। রোগ নির্ধারণ করতে যত দেরী হয় তত সমস্যা বাড়ে। সেকেন্ডারি গ্লোমেরুলো নেফ্রাইটিস, পাইলো নেফ্রাইটিসও নেফ্রাইটিসের বিশেষ ধরন।
শিশু, কিশোর ছাড়াও ডায়াবেটিক রোগী ও মহিলাদের মধ্য বয়সে পাইলো নেফ্রাইটিস বেশি হয়। কিডনিতে স্টোনের জন্য, ম্যালিগন্যান্সির জন্য বা প্রস্টেট সমস্যার কারণে বৃদ্ধ বয়সেও এই রোগ হতে পারে।
আনন্দলোক মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালে নেফ্রোলজি বিভাগে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত আছে। কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট, ডায়ালেসিসের জন্য আছে এক্সপার্ট টিম। সংস্থার ওয়েবসাইটে সমস্ত বিভাগের বিবরণ ও যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়।