রাত পোহালেই বঙ্গবাসী মেতে উঠবে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে। নতুন জামা, নানারকম খাবারে মেতে উঠবে সকলেই। এই উপলক্ষ্যে রাজ্যের স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের নানা রকম বিশেষ পদ দিয়ে মিড-ডে মিলে দেওয়া হবে। কোথাও তৈরি হবে মাংস-ভাত, আবার কোথাও পোলাও-আলুর দম, কোথাও ফ্রায়েড রাইস-ডিমের কষা। কোথাও আবার শেষ পাতে দেওয়া হবে পায়েস বা মিষ্টি।
জানা গিয়েছে যে বাংলা বছরের প্রথম দিন রবিবার। ফলে স্কুল ছুটি। তাই পরের দিন, অর্থাৎ সোমবার পড়ুয়াদের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া নিচ্ছে বহু স্কুল।
এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কোনও স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রদের জন্যু নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করবেন। আবার কোথাও স্কুলের কর্তৃপক্ষ অন্য খাতের খরচ বাঁচিয়ে পড়ুয়াদের মিষ্টিমুখ করাবে বলে ঠিক করেছেন।
বাঙালিদের কাছে বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর সেটা শুরু হয় পয়লা বৈশাখের দিন থেকেই। এছাড়া এবারই প্রথম পয়লা বৈশাখ দিনটিকে ‘রাজ্য দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। ফলে, এই দিনটির গুরুত্ব অনেক।
জানা গিয়েছে যে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১৫ এপ্রিল মিড-ডে মিলে স্পেশাল মেনু পরিবেশন করা হবে। প্রতিদিনের রুটিন মেনুর থেকে অনেকটাই আলাদা।
এই বিষয়ে রাজ্যের রাজ্যের মিড-ডে মিল তথা পিএম পোষণ প্রকল্পের অধিকর্তা পারমিতা রায় জানিয়েছেন যে, রোজকার বাঁধাধরা মেনুর বাইরে গিয়ে কোনও স্কুল যদি নববর্ষ উপলক্ষে বাচ্চাদের বিশেষ কিছু খাওয়ায়, তাঁরা তাতে উৎসাহ দিচ্ছেন। পুরোটাই স্কুলের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যে স্কুল যেভাবে করতে পারবে।
অন্যদিকে কলকাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্না জানিয়েছেন যে কলকাতা জেলার সব স্কুলে ওইদিন ডিমের কষা আর ফ্রায়েড রাইস দেওয়া হবে। এছাড়া থাকবে আলুর দমও। তার সঙ্গে একটা করে মিষ্টি দেওয়া হবে।
কলকাতা শহরের স্কুলগুলির মিড-ডে মিলের রান্না তৈরি হয় ক্লাস্টার কিচেনে। এক-একটি রান্নাঘরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা একসঙ্গে অনেক স্কুলের রান্না করেন। আর সেই রান্না করা খাবার পৌঁছে যায় স্কুলে স্কুলে।
ইতিমধ্যেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির কাছে ১৫ এপ্রিল বিশেষ মেনু রান্না করার নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের মিড-ডে মিল প্রকল্পের অধিকর্তা জানিয়েছেন যে বছরের অন্যান্য বিশেষ দিনেও বিশেষ মেনু চালু করা হতে পারে। তিনি দেখবেন সব, এবং তার উপর ভিত্তি করে শিশু দিবস, শিক্ষক দিবস-এর মতো অন্যান্য বিশেষ দিনেও বিশেষ মেনু চালু করার কথা ভাবা হতে পারে।