এখন আর অটোরিকশা, টোটোর সঙ্গে গুঁতোগুঁতি করে দক্ষিণেশ্বর মন্দির দর্শন করতে হয় না পুণ্যার্থীদের। কারণ ২০১৮-তে উন্মোচিত হয়েছে দক্ষিনেশ্বর ‘স্কাইওয়াক’। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন সরাসরি স্কাইওয়াক দিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় মন্দিরে। সেই স্কাইওয়াক এখন রীতিমত ‘ভিজিটার স্পট’। স্কাইওয়াক দিয়ে ‘প্যানারমিক ভিউ’-এ শহর দেখতে ভিড় জমান শহরবাসী থেকে শুরু করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মন্দির-দর্শনার্থীরা। এবার দক্ষিনেশ্বরের মতো একই দৃশ্য দেখা যাবে কালীঘাট মন্দির চত্বরেও। কারণ, স্কাইওয়াক হতে চলেছে কালীঘাটেও। এমনকি জানা যাচ্ছে, নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে কালীঘাট মন্দির এবং মন্দির চত্বর। এই প্রকল্পের জন্য তৈরী হচ্ছে রিপোর্ট।
এ বিষয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বুধবার বিধানসভায় বলেন, “যাঁদের ধারনা আমরা নাকি শুধুমাত্র একটা অংশকে দেখি, তাঁদের বলি এইসব কাজ ধর্মনিরপেক্ষতার নজির। দক্ষিণেশ্বর ও তারকেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বরে ৬৩ কোটি ১০ লাখ টাকা দিয়ে স্কাই ওয়াক করেছি। দুই কোটি ৪৮ লাখ দিয়ে ভোগ ঘর গড়া হয়েছে। সারদা মায়ের ঘাটের জন্য ৮ কোটি ১০ লাখ এবং নদীঘাট উন্নয়নেও প্রায় ১০ কোটি খরচ হয়েছে। তারকেশ্বর মন্দির উন্নয়নে পাঁচ কোটি ৯২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আলোকসজ্জা ও আনুষঙ্গিক উন্নয়নে চার কোটি ৭৩ লাখ, মন্দির যাওয়ার রাস্তার জন্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তারাপীঠে তিন কোটি এবং কঙ্কালীতলায় দুই কোটি ৯২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। “
তিনি আরও বলেন, “দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকের সময় রানি রাসমণির একটি মূর্তি দেন মন্দির কমিটির লোকজন। সেটি স্থাপনের জায়গা দেখছে কামারহাটি পুরসভা। সেখানে একটি পার্কে সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি ছিল। বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে স্থাপিত সেই মূর্তিটি তখন সরাতে হয়। ওই পার্কেই ফের মূর্তিটি বসানো হবে।” সেবাইত বা পুরোহিত ভাতার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “যদি সব মন্দির কমিটি বা ট্রাস্ট এক জায়গায় আসে এবং একমত হয় তো সেটা দেওয়া যেতে পারে।”