ঘিঞ্জি এলাকার আগুন নেভাতে ফায়ার বল কিনল রাজ্য দমকল দপ্তর। গড়িয়াহাট, নন্দরাম মার্কেটের আগুন থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার শহরের ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এমোনিয়াম ফসফেট দ্বারা তৈরি এক বিশেষ ধরণের ফায়ার বল কিনল রাজ্যের দমকল দপ্তর। ঘিঞ্জি জায়গায় এবার যদি আগুন লাগে, সেখানে দমকলের ফায়ার টেন্ডার প্রবেশ করতে না পারে, তা হলে আগুনের কাছাকাছি দমকল কর্মীরা পৌঁছে ড্রাই জাইমোল এমোনিয়াম ফসফেট এর এই ফায়ার বল আগুনের উপর ছুড়ে আগুন যেভাবে। চীন থেকে এমন ২ হাজার ফায়ার বল কেনা হয়েছে বলে রাজ্য দমকল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। ফুটবল এর মতন আকৃতির এই ফায়ার বল একমাত্র আগুনেই সংস্পর্শে এলেই প্রচন্ড শব্দে ফাঁটবে। তারপর ওই ফাঁটা বল থেকে একরকম পাউডার বার হয়ে তা আগুনের উপর ছড়িয়ে যাবে।তার ফলে দ্রুত আগুন নিভে যাবে।
চীন,জাপান, বাংলাদেশ,পাকিস্তানের মতো দেশে এই ফায়ার বল আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হয় । এই ফায়ার বলের ওজন কম, তাই বহন করা সহজ । এই কারণেই ঘিঞ্জি জায়গায় বড় রকমের আগুন লাগলে, সেখানে খুব বেশি তাপ সৃষ্টি হয় বলে স্বাভাবিক ভাবেই দমকল কর্মীরা আগুনের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেন না। এইসব ক্ষেত্রে ফায়ার বল খুব কার্যকরী হবে বলে দমকল দপ্তরের এক পদস্থ আধিকারিক জানান। তিনি বলেন, “চীন থেকে রাজ্য দমকল দপ্তর এই ২ হাজার ফায়ার বল কিনেছে। প্রতিটি ফায়ার বল এর দাম ১২০০ টাকা। তবে এই বালগুলো ফাঁটলে ১২০ ডেসিবেল শব্দ উৎপন্ন হয়। কলকাতার কিছু নামি শপিংমল, নার্সিংহোম তাদের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা জোরদার করতে এই রকমের ফায়ার বল কিনেছে।”
আসলে বাগড়ি মার্কেট, নন্দরাম মার্কেট, গড়িয়াহাটের অগ্নিকাণ্ডের পর দমকল দপ্তর চিন্তায় পরে যায় এরপর ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগলে কি করে তা দ্রুত নেভানো যাবে। এর পরই বিভিন্ন দেশের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার সময় তাঁরা এই ফায়ার বলের সম্বন্ধে জানতে পারেন। শেষ পর্যন্ত দমকল দপ্তর ঠিক করে ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে দমকল দপ্তর চিনে তৈরী এই ফায়ার বল কেনার।