পশ্চিমবঙ্গ প্রশংসিত হল কেন্দ্রের অর্থনৈতিক সমীক্ষায়

আজ পেশ হচ্ছে বাজেট। তার আগে গতকাল ছিল অর্থনৈতিক সমীক্ষা। কেন্দ্রীয় অর্থনীতি এবং বৈদেশিক অর্থনীতির বিষয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে গতকাল। দেশে কেমন ধরণের বাজেট প্রয়োজন, কি করলে অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হয়ে উঠবে,  সেটাও ছিল আলোচনার বিষয়। তবে আমাদের রাজ্যের জন্য কিন্তু সুখবর রয়েছে। কেন্দ্রের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বার বার উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। বেশ কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ যথেষ্ট ভালো ফল করেছে তা জানানো হল সমীক্ষায়।

     ধান উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ দেশের এক নম্বর স্থানে রয়েছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, সর্বাধিক ধান উৎপাদনকারী তিনটি রাজ্য যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ। পাট উৎপাদনেও পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে। পশ্চিমবঙ্গের মোট অভ্যন্তরীন উৎপাদন বৃদ্ধির হার ১৬ শতাংশ। যা অন্যান্য বহু রাজ্যকে ছাপিয়ে গেছে। কর্মহীনতার হার ও পশ্চিমবঙ্গে তুলনামূলক অনেক কম। বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে গ্রামীণ বাংলার অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান শহরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সমীক্ষার একটি অনুচ্ছেদে জাতীয় অর্থনীতিতে মহিলাদের যোগদান, গ্রামেগঞ্জে পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা সিদ্ধান্তগ্রহণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রগামী রাজ্যগুলিকে বিশেষ সাধুবাদ দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় প্রথম সারিতেই নাম রয়েছে বাংলার। বিভিন্ন প্রকল্প ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অগ্রগতি গ্রামীণ মহিলাদের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বনির্ভর করে তুলেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দিক দিয়েও এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় আইপিএস সমীক্ষক সংস্থার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। এক্ষেত্রেও অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করছে পশ্চিমবঙ্গ। তবে অনস্কিল্ড শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্য অনেকটাই পিছিয়ে। গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ, স্কুলশিক্ষার হার, স্কুলে পড়ুয়া ও শিক্ষক -শিক্ষিকার উপস্থিতি এই সব ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ পেছনে ফেলেছে অন্যান্য রাজ্যকে।

       তাই কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে রয়েছে।