খাতা দেখার ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম চালু

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতা দেখার ক্ষেত্রে বেশ কড়া নিয়ম চালু করছে রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী বছর থেকে কম্পিউটারে খাতা দেখার ব্যবস্থা চালু করছে তারা। এছাড়াও ঠিক হয়েছে, উত্তরপত্রের প্রতি পাতার জন্য অন্তত চার মিনিট সময় ব্যয় করতেই হবে পরীক্ষকদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, বর্তমানে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি নামে পরিচিত। প্রায় ২০৯টি কলেজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত, যেখানে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়। 

                   বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা জানান, পরীক্ষার খাতা দেখার ক্ষেত্রে বহু শিক্ষকই দায়সারা ভাবে কাজ করতেন বলে খবর পাওয়া যেত। কোনওমতে খাতা দেখে নম্বর জমা করে দিতেন তাঁরা। শিক্ষকদের এই অভ্যেস বন্ধ করতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা। নতুন এই পদ্ধতিতে বেশ কিছুটা সময় বাঁচবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তার থেকেও বড় কথা, স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। উপাচার্য সৈকত মিত্র এ প্রসঙ্গে জানান, পরীক্ষার খাতা যাতে ঠিক মতো মূল্যায়ন হয়, তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর সেই খাতা আর হাতে দেখতে হবে না। খাতা সংগ্রহ করার পর তা স্ক্যান করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এই জন্য একটি সার্ভার তৈরী করবে। সেখানে স্ক্যান করা খাতাগুলি আপলোড করে দেওয়া হবে। সেখানেই শিক্ষকেরা খাতা মূল্যায়ন করবেন। পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরও ওই সার্ভারেই আপলোড করে দিতে হবে।

                  বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কম্পিউটার স্ক্রিনের একদিকে প্রশ্ন থাকবে অন্যদিকে উত্তর থাকবে। ফলে প্রশ্ন আর সঙ্গে হাতে রাখতে হবেনা পরীক্ষকদের। প্রতি পাতার জন্য চার মিনিট করে সময় দিতেই হবে পরীক্ষকদের। কেউ যদি তার আগেই পরের পাতায় যেতে চান, তাহলে তা করা যাবেনা। চার মিনিট হয়ে গেলে তবেই পরের পাতায় যাওয়ার অপশন পাওয়া যাবে। পর পর ক্রমানুযায়ী খাতা দেখতে হবে। অর্থাৎ কেউ চাইলে প্রথম পাতা, দ্বিতীয় পাতা দেখার পর চাইলে চতুর্থ বা পঞ্চম পাতা দেখতে পারবেন না। তবে গোটা খাতা দেখা হয়ে যাওয়ার পর কোনো পরীক্ষক যদি চান, খাতাটি পুনর্মূল্যায়ন করবেন, তাহলে তখন তিনি নিজের পছন্দ মতো পাতা দেখতে পারবেন। কিন্তু মূল্যায়নের মাঝখানে তিনি আবার আগের পাতায় ফিরে যেতে পারবেন না। যে উত্তরপত্রগুলি স্ক্যান করে আপলোড করা হবে, সেগুলি নষ্ট করে দেওয়া হবে। যদি ফল প্রকাশের পর কেউ রিভিউ বা আরটিআই করে তা দেখতে চান, তাহলে তখন সেই স্ক্যান করা প্রতিলিপি দেখানো হবে পরীক্ষার্থীদের।

             আশা করা যাচ্ছে, এই পদ্ধতি অনুসরণের ফলে খাতা দেখার প্রক্রিয়া অনেকটাই স্বচ্ছ হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...