‘ডিয়ার জিন্দেগি’ ছবিটা দেখেছেন?
ছবির কাহিনীতে কায়রার সঙ্গে অনেকেই মিল খুঁজে পান নিজের। কিছু মুহূর্ত, কিছু স্মৃতি, কিছু কথা কিছুতেই পিছু ছাড়তে চায় না। জীবনে
র সঙ্গে যেন সুতোর মতো পেঁচিয়ে যায়। যতই ভোলার চেষ্টা করেন তত যেন আরও বেশি করে ঘিরে ধরে। অথচ সেসব কোনও ভালো লাগার মুহূর্ত নয়। এমন মুহূর্ত যা মনে পড়লেই তেতো করে দেয় মন। আপনি প্রাণপণ চেষ্টা করেন বেরিয়ে আসার, কিন্তু পারেন না। রাগ হয়, বিরক্তি জন্মায় তবুও স্মৃতি নাছোড়।
আর এই চেপে রাখা রাগ, বিরক্তি, ক্ষোভ থেকেই জন্ম হয় মানসিক চাপের। প্রেসার, হাইপার টেনশন, খিটখিটে ভাব নষ্ট করে দেয় মেজাজ। মনের স্বাভাবিক কোমল অনুভূতিগুলো এলোমেলো যায়।
‘মুভ অন’ শব্দটা এসব ক্ষেত্রে জীবনে খুব বিশ্বাসী শব্দ। যে যন্ত্রণার কোনও সমাধান হয় না বা সমাধান আপনার হাতে নেই তা থেকে বেরিয়ে আসতে বিষয়টা নিয়ে নাড়া ঘাটা করাই বন্ধ করে দিন। এক দিনে সম্ভব নয়। কিন্তু যখনও অতীতের তিক্ততা মন জুড়ে বসতে চাইবে তাকে সেখানেই আটকে দিন। নিজের পৃথিবীটা বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। নিজের কাজ বা চেনা জগতের বাইরের লোকজনের সঙ্গে যত মিশবেন তত বড় হবে দেখার জগৎ। একটা সময়ের পর দেখবেন খারাপ লাগাগুলো ভুলতে শুরু করেছেন বদলে গিয়েছে দেখার চোখ।
অতীতের বোঝা টেনে বেড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। খুশি ও আনন্দকে জায়গা দিতে চাইলে ডিলিট বাটন টা আপনার হাতেই আছে। নষ্ট করে দিন খারাপ স্মৃতির ব্যাগেজ।
মন শান্ত করতে মেডিটেশন করুন। খারাপ ভালো সবটাই মেনে নিতে শিখুন। ভুল আঁকড়ে না থেকে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে উড়ে যান জীবনের অন্য দিশায়।
ক্ষমা করতে শিখুন। শান্তি পাবেন। দিনের শেষে আয়নায় নিজেকে খুশি এবং সুখী দেখতে পাওয়াটাই সব চেয়ে বড় প্রাপ্তি। আর সেখানে আপনিই হোন শেষ কথা।