নন্দীগ্রাম, একটা সময়ের পর সারা দেশের কাছে, বলা ভাল সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে গেছে। কিন্তু সেই জায়গার একটা নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। সেখানে লোনা জলের যথেষ্ট বাড়বাড়ন্ত। পরিশ্রুত পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে সেখানে। এবারে সেই পরিশ্রুত পানীয় জল যাতে স্থানীয় বাসিন্দারা পেতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে বদ্ধপরিকর হয়েছে রাজ্য সরকার। প্রথমে প্রকল্পের সশ্লিষ্ট পাম্পিং স্টেশনের জমি পাওয়া নিয়ে কিছুটা জটিলতা থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে স্থানীয় বাসিন্দারাই স্বেচ্ছায় জমি দান করে সেই সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছেন। গত ৮ফেব্রুয়ারি একটি টেন্ডারের মাধ্যমে সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সাধারণ মানুষ।
রূপনারায়ণ নদ থেকে জল তুলে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট-এ তা পরিশ্রুত করে রাখার পর রাখা হবে দুটি গ্রাউন্ড লেভেল স্টোরেজ রিজার্ভারে। সেখান থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তা পৌঁছে যাবে নন্দীগ্রামের ঘরে ঘরে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ৭০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যে গড়ে উঠছে নন্দীগ্রামের মেগা জল প্রকল্পটি। পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের আশা, আগামী ২০২০ সালের মধ্যেই নন্দীগ্রামের প্রতিটি নাগরিকের জন্য দৈনিক ৭০ লিটার নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ করা হবে। এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হবেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ।
এডিবি এবং রাজ্য সরকারের পিএইচই দফতর নন্দীগ্রাম সহ পারিপার্শ্বিক এলাকা নন্দকুমার ও চন্ডীপুর ব্লকে পানীয় জল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। নন্দীগ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় এই প্রকল্পে জমি দান করে প্রকল্পের গতি বাড়িয়ে দিয়েছেন। পিএইচই মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, প্রতিদিন ১১২ মিলিয়ন লিটার জল পরিশ্রুত করতে পারে, এমন একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরী হচ্ছে নন্দীগ্রামের জন্য| এখন মাথাপিছু ৭০ লিটার করে দৈনিক জল সরবরাহ করা হলেও আগামী দিনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে আরও জলের প্রয়োজন পড়বে। তাই অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে এই জল প্রকল্পটি।