জলের অভাবে এখনও সংকটে চেন্নাই। দেখা নেই বৃষ্টির। এমনই অসহনীয় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার খরাকীর্ণ চেন্নাইয়ে জলের ঘাটতি কমিয়ে আনতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার কতৃপক্ষ। তামিলনাড়ুর ভেলোর থেকে WAG 5HA 23907 নম্বরের বিশেষ ট্রেনে ৫০ ওয়াগন জল পৌঁছে যাবে চেন্নাইয়ের ভিল্লিভক্কম অঞ্চলে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিলনাড়ুর পালানিস্বামী সরকার। প্রকল্পটির জন্য খরচ বরাদ্দ হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। প্রত্যেকটি ওয়াগন ৫০,০০০ লিটার জলে পরিপূর্ণ। শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই তা পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট জলাধারগুলিতে।
কথা ছিল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই জল পৌঁছে দেবে এই বিশেষ ট্রেন। কর্তৃপক্ষ মারফত জানা গিয়েছে, ট্যাঙ্ক ও রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ভালভে লিক থাকায় সঠিক সময় ট্রেনটি গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার চেন্নাই গিয়ে পৌঁছবে এই বিশেষ ট্রেন। তামিলনাড়ুর জোলারপেট স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের দূরত্ব ১৩৫ মাইল। সে কথা মাথায় রেখেই রেলওয়ে আধিকারিকদের দেখা যায় তৎপরতার সাথে ৫০ ওয়াগন জল বোঝাই করতে। জলের প্রধান উৎস দক্ষিণ ভারতের একটি নদী।
কিছুদিন আগেই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারায়ি বিজয়ন সশ্যাল মিডিয়ায় একটি মন্তব্য করে জানিয়েছিলেন, জল সরবরাহের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে তামিলনাড়ু সরকার। যদিও টুইটের মাধ্যমে এই ঘটনাকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এবং কেরালা সরকারকে তিনি অনুরোধ করেছেন জল সরবরাহের কাজে এগিয়ে আসতে। বর্তমানে তামিলনাড়ু ৫২৫ মিলিয়ন লিটার জল সরবরাহ করছে চেন্নাইতে।
গত কয়েক মাস ধরে তীব্র জলসংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে চেন্নাই। অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন ঘটিয়ে জল সংকটের মোকাবিলা করে রাজ্যে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর তামিলনাড়ু প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ ও ‘১৮ তে বৃষ্টিপাত একেবারেই না হওয়ায় খরার আকার ধারণ করেছিল চেন্নাই, আর তারই পরিণতি এই জলসংকট। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত না হওয়ার ফলে অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে ভূগর্ভস্ত জলের স্তর। ফলে স্বাভাবিক জীবন থেকে কার্যত বিচ্যুত চেন্নাইয়ের লোকজীবন।