৫৭তম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নতুন আবেদন প্রশাসনের। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ষাটের দশক থেকে প্রায় প্রতি দশকেই সরকারি কাজের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও বহু সরকারি কাজ যেমন, হাসপাতালের টিকিট, জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র-সহ বহু প্রয়োজনীয় পরিষেবার ক্ষেত্রে বাংলার ব্যবহার এখনও তলানিতেই। এই অবস্থায় প্রশাসনিক কাজকর্মে বাংলার গুরুত্ব বাড়াতে এ বার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করল তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন।
এই বিষয়ে জানা গিয়েছে, সত্তরের দশকে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল সব ধরনের সরকারি ফর্ম ইংরেজির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাতেও ছাপাতে হবে। এছাড়াও নব্বইয়ের দশকে ফের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পং ছাড়া রাজ্যের সর্বত্র সরকারি চিঠি, নির্দেশ, প্রচারপত্র, বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা ব্যবহার আবশ্যিক করা হয়েছে। তবে ২০০০ সালের নির্দেশিকায় স্বীকার করা হয় যে, আগের নির্দেশগুলি সার্বিক ভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৬৫ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে গোটা রাজ্যে বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে ২০০৪ সালে আবার একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। তাতে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বশাসিত সংস্থার অফিসে সাইনবোর্ড, নামফলক, লেটারহেড, ভিজিটিং কার্ডে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশনামা, বিজ্ঞপ্তি, হাসপাতালের টিকিট, ফর্ম, থানার ডায়েরি, সরকারি বাসের টিকিট— সব কিছুতে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে বলে জানা গিয়েছে| মন্ত্রিসভার নথিতে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই ইংরেজির সঙ্গে বাংলা ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এখন তা হচ্ছে পুরসভা-পঞ্চায়েতের কাজের ক্ষেত্রে।