ভোট এখন দোরগোড়ায়। ভোট প্রাথীদের নাম ঘোষণা হবার সাথে সাথে জোর কদমে চলছে প্রচারের আয়োজন। রং-বেরঙ্গে ভরে উঠছে চারপাশের দেওয়ালগুলি। দলের চিহ্ন আর মনোনীত প্রাথীর নাম মন দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেওয়াল লিখনে। এমন কাজে এবারের নির্বাচন প্রচারে যাঁরা কাজ করছেন তাদের ভিতর ভালো দেওয়াল লিখন নিয়ে রীতিমত চলছে প্রতিযোগিতা। দেওয়াল লিখনের পেশাদারিত্ব নির্ধারণ করছে দিন শেষে মজুরির পরিমান।
ভোটের সময় সব থেকে ব্যস্ত এখন তারাই। সকাল থেকে বায়না মিলতে থাকে। কাজের পারদর্শিতার উপর নির্ধারিত হয় মূল্য। ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা অব্দি দিন প্রতি আয় করতে পারেন একজন দেওয়াল লিখিয়ে। সারা বছরে যতটা কাজের ব্যস্ততা থাকে ভোটের কাছাকাছি সময়ে তার বহুগুনে বেড়ে যায় সেই চাপ। কাজের চাপের সাথে বাড়ে রোজগারের সম্ভাবনাও। এমন একজন দেয়াল লিখিয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ১৯৯৮ থেকে ভোটের সময় দেওয়াল লিখিয়ের কাজ করে আসছেন তিনি। সারা বছর ব্যস্ত থাকেন স্ক্রিন প্রিন্টিংয়ে। রসিদপুর ছাড়িয়ে দেওয়াল লিখনে তার ডাক পড়ছে শহরের দেওয়াল লিখনেও। এই পেশায় যুক্ত থাকা আরো একজন দেওয়াল লেখক জানান শহরের দিকে দেওয়াল লিখনে তুলনামূলকভাবে বেশি মজুরি পাওয়া যায়। অনেকে রং কিনে বায়না দেয়। সেক্ষেত্রে মজুরি খানিকটা কম হয়ে যায়। তবে রং কিনে দেওয়াল লেখার বায়না পেলে সেক্ষেত্রে মজুরি বেড়ে যায়।
একজন দেওয়াল লিখিয়ে যেমন একাই দেওয়াল লিখিয়ের কাজ করেন, তেমনি কেউ কেউ আবার রাখছেন সহকারী দেওয়াল লিখিয়ে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ঘোষণা হয়ে গেছে তৃণমূল প্রার্থীদের নাম। ক্রমেই নাম ঘোষণা হবে সি পি এম এবং বিজেপি প্রার্থীদেরও। অনেকে আগাম দেওয়ালে প্রতীক এঁকে বুক করে রাখছে প্রচারের দেওয়াল। প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই আবারো ব্যস্ত হয়ে পড়বেন দেওয়াল লিখিয়েরা।