খোঁজ মিলল ভাসমান আগ্নেয়শিলার

প্রশান্ত মহাসাগরে যাত্রার সময়, এক বিশালাকার আগ্নেয়শিলার সন্ধান পেলেন মাইকেল এবং ল্যারিসা হল্ট নামক অস্ট্রেলিয়ান দম্পতি নাবিক৯ আগস্ট প্রশান্ত মহাসাগর পার হওয়ার সময় তাঁরা এই পাথরের হদিশ পান বলে জানা গেছে। অনলাইনে তাঁরা জানিয়েছেন, 'আমরা এক পাহাড়ি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করি। যেখানে দেখতে পাই মার্বেল সাইজের পিউমিস পাথর দিয়ে তৈরী শিলাটি মহাসাগরের ওপর ভেসে রয়েছে। চাঁদের আলোয় ও বোটের স্পটলাইটে এই পাথর স্পষ্ট দেখা গিয়েছে'

তাঁরা প্রথমে কিছু ভাসমান পাথরের টুকরো দেখতে পান সঙ্গে সালফারের গন্ধও পান। আস্তে আস্তে সেই টুকরোগুলো বাড়তে থেকে। তাঁরা তাঁদের বোটের গতি কমিয়ে দেন। তারপর তাঁরা দীর্ঘ বিস্তৃত সম্পূর্ণ পাথরের চাঁইয়ের দেখা পান, পাশাপাশি সালফারের গন্ধ তখন পাওয়া যাচ্ছিল না। নিজেদের বোটের গতি একেবারে কমিয়ে নেন তাঁরা।

              প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নাসাও এই ভাসমান নতুন পাথরের হদিশ দিয়েছে। নাসার স্পেসলাইট স্যাটেলাইটেও এই বিশালাকার পাথর দেখতে পাওয়া যায়। তাই নাসাও একই তথ্য সম্বলিত ছবি প্রকাশ করেছে।

            সম্প্রতি গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরে গ্রেট বেরিয়ার রিফ প্রায় ধ্বংসের মুখে। যার ফলে বিলুপ্তির মুখে প্রচুর সামুদ্রিক প্রাণী। তাই সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে এই বিশাল আগ্নেয়শিলার সন্ধান সামুদ্রিক জীববৈচিত্রে প্রাণ সঞ্চার করবে বলেই মনে করছেন জীব বিজ্ঞানীরা। এই আগ্নেয়শিলাটি সমুদ্রের উপরিভাগে প্রায় ১৫০ কিমি বিস্তৃত। এত বিশাল এর আকৃতি, যে গোটা ম্যানহাটন শহরটি এর ভেতর ঢুকে যেতে পারে। এর বিস্তৃতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, প্রায় ২০ হাজার ফুটবল মাঠের সাইজের সমান এই পাথরটি। মনে করা হচ্ছে, অগ্নুৎপাতের ফলেই এই বিশালাকার পাথরের সৃষ্টি।

এটির গায়ে প্রচুর গর্ত ও কালো দাগ রয়েছে। এই ভাসমান আগ্নেয়পর্বত অস্ট্রেলিয়ার কোরাল রিফের সামুদ্রিক জীববৈচিত্রকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে বলে মনে করছেন ভূবিজ্ঞানীরা।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...