মৃত্যুর গ্রাস থেকে কলকাতাকে রক্ষা করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ

১৮৯৮ সাল। স্বামীজি তখন দেশ ফিরে সবে মাত্র দার্জিলিং গিয়েছেন, তাঁর শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বেঁধেছে। তাঁর শরীর ভগ্ন। ২৯ এপ্রিল ব্রহ্মানন্দের চিঠি পেলেন। স্বামী অখণ্ডানন্দের লেখা থেকে জানা যায়, চিঠি পেয়ে স্বামীজি সারাদিন কিছু খাননি, চুপচাপ ছিলনে। ডাক্তার ডেকে আনা হলেও বিশেষ সুবিধা কিছু হয়নি। কোনও এক ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বামীজি বলেছিলেন, "সর্বস্ব বিক্রি করেও এদের উপকার করতে হবে। আমরা যে গাছতলার ফকির, সেইখানেই থাকব।"

ম্যাকলাউডকে ২৯ জুলাই একটি চিঠিতে স্বামীজি লিখেছিলেন – 'আমি যে শহরে জন্মেছি, সেখানে যদি প্লেগ এসে পড়ে, তবে আমি তার প্রতিকারকল্পে আত্মোৎসর্গ করব বলেই স্থির করেছি।' সবার নিষেধ উপেক্ষা করে ৩ মে কলকাতায় ছুটে এলেন স্বামীজি। 

সেবার বসন্তের কলকাতায় মৃত্যু মিছিল আর অকাল শৈত নেমে এসেছিল। শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ, ১৮৯৮-এর ৪ মে অমৃতবাজার পত্রিকায় লেখা হয়, "কলকাতা এক পরিত্যক্ত নগরীর চেহারা নিয়েছে।" ফের ৮ মে এক সংবাদপত্রে লেখা হচ্ছে, "ট্রেনে, স্টিমারে, পথে শুধু দেখা যায় প্রবাহিত বিপুল জনতরঙ্গ। কয়েকদিনের মধ্যে ২ লক্ষ মানুষ শহর ছেড়ে চলে গিয়েছে। ধনী পর্দানশীনা মহিলাও পর্দা বন্ধন সরিয়ে রাস্তায় ছুটছেন-মারাত্মক শহর থেকে বাঁচবার জন্যে।" ১৮৯৮-র এপ্রিল-মে মাস নাগাদ কলকাতায় প্রথম প্লেগের আবির্ভাব। তবে ভারতে প্লেগ ঢুকেছে আরও অনেক আগে ১৮৯৬ নাগাদ। গোট পৃথিবীও এর আগে একাধিকবার প্লেগের আঁচড় দেখে ফেলেছে। বোম্বে আধুনা মুম্বাই শহরে প্রথম হানা দেয় প্লেগ। প্রায় দুই বছর ধরে মুম্বাই থেকে গুজরাত, কচ্ছ ও পাঞ্জাব এবং মাদ্রাজ পেরিয়ে ১৮৯৮ সালে প্লেগ কলকাতায় এসে থাবা বসাল। শুরু হল হাহাকার, টিকাই ছিল প্লেগের একমাত্র ওষুধ, কিন্তু মানুষ তা নিতে রাজি হয়নি। টিকাকরণ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। অশিক্ষা, অসচেতনা ছিলই, সেই সঙ্গে যোগ হল কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাস। মুসলমান সমাজে রটে যায়, ব্রিটিশ সরকার হজ আটকাতেই এই ব্যবস্থা করেছে। এই সময়ে প্লেগ নিয়েও একদল মানুষ ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতে শুরু করে, 'প্লেগ প্রহসন' নামে একটি বই প্রকাশিত হয়।

ভারতীয়দের কুসংস্কার, গোঁড়ামি প্লেগের সময়ও যায়নি। টিকা নিয়ে তদানিন্তন কলকাতাবাসীর অযৌক্তিক দাবিও ছিল। দেশীয়দের মধ্যে রটে যায় টিকা নিলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। টিকাকরণের নামে ম্লেচ্ছ ইংরেজ বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করবে ও নারীদের শ্লীলতা হরণ করবে, এই আশঙ্কাতেই টিকাকরণের বিরুদ্ধে বেঁকে বসে সাধারণ মানুষ। ব্রিটিশ সরকার সপ্তাহে দু-দিন বাড়িতে এসে টিকা দেবে। এর বিরুদ্ধে অনেকেই রুখে দাঁড়িয়েছিল। রাজপথে ঘুরতে থাকে লাঠি, স্লোগান উঠতে থাকে জায়গায় জায়গায়। সেই সময় উডবার্ন সাহেব টিকাকরণের জন্য খুব চেষ্টা চালিয়েছিলেন, কিন্তু কিছুই লাভ হয়নি। কলকাতাবাসীর এহেন আচরণে সীমাহীন বিপর্যয় নেমে আসে। প্লেগের আক্রমনে কলকাতা উজার হয়ে যায়। শহরে জাঁকিয়ে বসে প্লেগ যখন ঠিক তখনই এগিয়ে আসেন স্বামী বিবেকানন্দ। 

১৮৯৮-র এপ্রিলের শেষভাগে কলকাতায় প্লেগের প্রকোপ শুরু হল। ১৭ এপ্রিল বাংলায় প্রথম প্লেগের কারণে মৃত্যু হয়। কাপালিটোলা লেনের এক বাসিন্দার দেহ ময়নাতদন্ত করে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্তে আসেন- প্লেগের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। বেনিয়াপুকুর, বড়বাজার, কুমারটুলি, শ্যামপুকুরে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। ৩০ এপ্রিল ব্রিটিশ প্রশাসন জানিয়ে দেয়, কলকাতায় প্লেগ মহামারীর আকার ধারণ করেছে।

দার্জিলিংয়ে বসে স্বামীজি বলেছিলেন, সর্বস্ব বিক্রি করেও লড়াই করতে হবে। ৩ মে কাতায় ফিরে বেলুড়ে নীলাম্বর মুখোপাধ্যায়ের বাগান বাড়িতে (ওটাই তখন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রধান কার্যালয়) সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারী ও অনুগামীদের নিয়ে স্বামীজি এক সভা করেন এবং বলেন, "দেখো, আমরা সকলে ভগবানের পবিত্র নাম নিয়ে এখানে মিলিত হয়েছি। মরণভয় তুচ্ছ করে এই সব প্লেগ রোগীদের সেবা আমাদের করতে হবে। এদের সেবা করতে, ওষুধ দিতে, চিকিৎসা করতে আমাদের নতুন মঠের জমিও যদি বিক্রি করে দিতে হয়, আমাদের যদি জীবন বিসর্জনও দিতে হয়, আমরা প্রস্তুত।" তিনি প্লেগ হাসপাতাল তৈরি করতে চেয়েছিলেন। কলকাতায় তখন প্লেগের দাপট। মানুষ কলকাতা ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে, স্বামী বিবেকানন্দ মানুষগুলোকে সচেতন করতে চেয়েছিলেন, কারণ অজান্তেই তারা রোগ জীবাণু বহন করছিল। গ্রামবাংলায় প্লেগ ছড়ালে উজার হয়ে যেত গোটা প্রদেশ। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, 'মনকে সর্বদা প্রফুল্ল রাখুন। সবাই একবার মরে যাবে। কাপুরুষরা কেবল নিজের মনের ভয়ের কারণে বার বার মৃত্যুর যন্ত্রণায় ভুগছে। আসুন, আমরা এই মিথ্যে ভয় ছেড়ে দিতে পারি এবং ঈশ্বরের অসীম করুণায় বিশ্বাস রেখে, আমাদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করুন। আসুন আমরা শুদ্ধ ও পরিষ্কার জীবনযাপন করি। রোগ, মহামারী ইত্যাদির ভয় একদিন আপনাদের ইচ্ছেশক্তির কবচের কাছে বাতাসে বিলীন হয়ে যাবে।' পরের দিন থেকে নিবেদিতার সঙ্গে সেবাব্রতে নিযুক্ত হলেন।

রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে কমিটি গড়া হল। ঐ কমিটির সম্পাদক হলেন সিস্টার নিবেদিতা, প্রধান কার্যাধ্যক্ষ স্বামী সদানন্দ, স্বামী শিবানন্দ, স্বামী নিত্যানন্দ, স্বামী আত্মানন্দ এবং অনান্য কর্মীরাও ছিলেন। কলকাতার রাজপথ, বস্তি নিজের হাতে তাঁরা পরিষ্কার করেছিলেন। স্বামী অব্জজানন্দ লিখে গিয়েছেন, নর্দমা বা দুর্গন্ধযুক্ত আবর্জনা দেখে, সাফাইকর্মীরা যখন সরে যেত, সন্ন্যাসী সদানন্দ তখন তাদের হাত থেকে ঝুড়ি কোদাল কেড়ে নিয়ে এগিয়ে যেতেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সেবাকার্যের ইতিহাসে, চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন সদানন্দ। 

বিবেকানন্দের প্লেগের বিরুদ্ধে লড়াইতে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন নিবেদিতা। নিজের স্বাস্থ্যে পরোয়া করেননি, ভয়কে দূরে ঠেলে নিজে সশরীরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন প্লেগ আক্রান্তদের সেবায়। রাতের পর রাত প্লেগ আক্রান্ত বস্তিতে, রাস্তায় কাটিয়েছেন। জনস্বাস্থ্যরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা বোঝানোর চেষ্টা করে যেতেন নিবেদিতা। নিবেদিতার ঐ উদ্যোগ নিজের চোখে দেখেছিলেন প্রখ্যাত চিকিৎসক রাধাগোবিন্দ কর। তাঁর স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে সেসব দিনের কথা। সালটা ১৮৯৯, শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্লেগ ডাঃ রাধাগোবিন্দ কর একদিন রোগী দেখে বাড়ি ফিরেছেন, দেখেন একজন বিদেশিনী তাঁর ঘরে বসে আছে। সেই প্রথম নিবেদিতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল। ওইদিন সকালে ডাঃ রাধাগোবিন্দ বাগবাজারের এক বস্তিতে একটি শিশুকে পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। প্লেগে আক্রান্ত হয়ে শিশুটির মা মারা গিয়েছে, শিশুটিও মারণ রোগাক্রান্ত। এই কথা শোনা মাত্র নিবেদিতা ছুটে যান সেখানে। নিজের সন্তানের মতোই বুকে তুলে নিয়েছিলেন শিশুকে। নিজের কথা চিন্তা করেননি। ঘর পরিষ্কার করতে হবে বলে নিজেই মই এনে চুনকামের কাজ করতে নেমে পড়েছিলেন। নিবেদিতা জানতেন, এই বাচ্চাটি আর বাঁচবে না। সে বাঁচেনি; কিন্তু নিজের সমস্ত স্নেহ উজার দিয়েছিলেন নিবেদিতা। শুধু একটি জায়গায় নয়, সর্বত্র। কখনও প্লেগ হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ করছেন, কখনও নিজেই অকুস্থলে পৌঁছে যাচ্ছেন। আবার দৃঢ় সংগঠকের কাজও করছেন, অর্থ সংগ্রহ করছেন, নিবেদিতা ইংরেজি খবরের কাগজে সেবাকার্যের অর্থ সংগ্রহের বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। ক্লাসিক থিয়েটারে মিশনের তরফে ডাকা এক সভায় স্বামীজীর উপস্থিতিতে 'প্লেগ ও ছাত্রগণের কর্তব্য' এই শিরোনামে একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। স্বেচ্ছায় অনেক ছাত্ররাই এগিয়ে এসেছিল। প্রতি রবিবার সন্ধেবেলা ৫৭ নং রামকান্ত স্ট্রিটে জড়ো হয়ে, নিবেদিতা ছাত্রদের নির্দেশ দিতেন, কোন এলাকায় কী কর্মসূচি হবে তা ঠিক করে দিতেন। সচেতনতার প্রচার করতেন। এ কাজে পাশে পেয়েছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ কিংবা জগদীশচন্দ্র বসুর মতো মানুষকে।

বিবেকানন্দ বুঝতে পেরেছিলেন, ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যবিধি পৌঁছে দিতে হবে, গুজবের সঙ্গে লড়তে হবে তবেই প্লেগ হারবে। কলকাতাবাসীর প্রতি আবেদন জানিয়ে একটি প্রচারপত্র তৈরি করার ভার পড়ে নিবেদিতার উপর। স্বামীজির নির্দেশেই দু'দিন ধরে সিস্টার নিবেদিতা প্রথমে ইংরেজিতে তা তৈরি করেছিলেন, তারপর তা বাংলা ও হিন্দিতে অনূদিত হয়। প্রথম দফায় ১ লক্ষ প্রচারপত্র ছাপানো হয়েছিল। এই পত্র বিলি করতে গিয়ে সন্ন্যাসীদের কম বিপদে পড়তে হয়নি। জুটেছে ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, প্লেগ নিরাময়ে সরকারি নির্দেশ উল্লেখ করে বিবেকানন্দ রচিত লিফলেট বিলি করতে রাস্তায় বেরোলে অখণ্ডানন্দকে মারতে পর্যন্ত গিয়েছিল জনতা। কারণ তাদের সন্দেহ হয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশন ইংরেজের হয়ে প্রচার করছে, সাধুর ছদ্মবেশে এরা ব্রিটিশের চর। অতএব মারো সাধুকে। অন্য সন্ন্যাসীদের তাড়া করা হয়েছিল। এর থেকে বিবেকানন্দও রেহাই পাননি।

সময়কালের নিরিখে, কলকাতার প্লেগের দুটি পর্যায় আছে। প্রথম দফায় প্লেগের সব ব্যবস্থা পাকা করে ১৮৯৮-এর ১১ মে সদানন্দ ও নিবেদিতাকে নিয়ে স্বামীজি আলমোড়া যান। ১৩ মে ১৮৯৮ কলকাতায় ফের প্লেগ শুরু হল। কলকাতা জনমানবশূন্য, ব্যবসা বন্ধ, গাড়ি নেই রাস্তায়। সমস্ত রঙ্গমঞ্চ বন্ধ, স্টার থিয়েটার ৪০ দিন বন্ধ ছিল। ২০ মে প্লেগে আতঙ্কিত সাফাই কর্মীরা আবার ধর্মঘট করল।

জুলাই মাসে জন উডবার্ন বিভিন্ন প্লেগ হাসপাতাল পরিদর্শন করে, ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটের এক সভায় বললেন, প্লেগকে বিদায় জানাবার সময় এসেছে। ১৮ অক্টোবর উত্তর ভারত থেকে বেলুড়ে ফিরলেন স্বামী বিবেকানন্দ, শরীর ভাল নয়। ৯ ডিসেম্বর ১৮৯৮ বেলুড় মঠের উদ্বোধন হল। মহামারি ১৮৯৯ সালে চরমে উঠল। মার্চে কলকাতায় আবার প্লেগ শুরু হল। একদিনে ৯৫ জন মারা গেলেন। গোটা বছর জুড়ে প্লেগের জেরে প্রতিদিনই মানুষ মারা যেত। ১৮৯৯-এর গুড ফ্রাইডে, ৩১ মার্চ থেকে আবার মিশনের সেবাকার্য শুরু হল। স্বামীজির নেতৃত্বে মঠ ও মিশন ১৮৯৮ থেকে ১৯০০ পর্যন্ত প্লেগের সঙ্গে লড়াই করেছে। প্রতিদিন তিন অঙ্কের ঘরে থাকত আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতুই হচ্ছিল রোজ। ১৯০১ এও সংখ্যা কমেনি, প্রতিদিন গড়ে একজন করে প্লেগে মারা যাচ্ছিলেন। বিহারেও প্লেগ মারাত্মকভাবে আঘাত এনেছিল। স্বামীজির আদর্শে ভাগলপুরেও গুরুভাইরা প্লেগের বিরুদ্ধে লড়াই লড়েছিলেন। ১৯০২-০৩ নাগাদ অনেক কমে আসে প্লেগের প্রকোপ। যদিও বাংলা পুরোপুরি প্লেগমুক্ত হয়েছিল অনেক পরে, ১৯২৫ নাগাদ। ততদিনে স্বামীজি নিবেদিতা সকলেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন, মহামারি চলে গেলেও শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ কয়েক বছর সময় লেগেছিল।

কলকাতাকে মৃত্যুভয় গ্রাস করেছিল। কাতারে কাতারে প্রাণ চলে যাচ্ছিল। আতঙ্কিত মানুষ। প্লেগ রুখতে স্বামী বিবেকানন্দের নেতৃত্বে ভগিনী নিবেদিতা ও রামকৃষ্ণ মিশন লড়াই করেছিল। প্লেগ আক্রান্ত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সেবা করা, সাফাই করতে রাস্তায় নামা, প্লেগ রোগীকে রাত জেগে সেবা করা, কিছুতেই কমতি রাখেননি তাঁরা। প্রাণের মায়া ত্যাগ করে সেবা করেছেন, রোগীর মৃত্যুতে স্বজন হারানোর যন্ত্রণায় ভেঙে পড়েছেন। রুখে দিয়েছেন মহামারি। আট লক্ষ কলকাতাবাসীকে জিতিয়ে দিয়ে জিতে গিয়েছিলেন বিলে। ধর্ম নয়, আর্তের সেবাই তাঁর জীবনদর্শন। বেদ-বেদান্ত-পুরাণে মুখ গুঁজে বা বাণী আওড়ে নয়, মাঠে নেমে লড়াই করে অতিমারিকে হারিয়েছিলেন বিবেকানন্দ। বেঁচে থাকা জিন্দাবাদ বলা, জীবনের কথা বলা সন্ন্যাসীর প্রতি প্রণতি জানাই।

 

তথ্যঋণ:

১) স্বামী বিবেকানন্দের পত্রবালী (অখণ্ড)

২) স্বামীজির পদপ্রান্তে: স্বামী অব্জজানন্দ

৩) স্বামীজিকে যেই রূপ দেখিয়াছি: ভগিনী নিবেদিতা

৪) চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাঙালি: অরুনকুমার চক্রবর্তী

৫) কলকাতার পথঘাট: প্রাণতোষ ঘটক

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...