বিশ্বভারতীকে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দিল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হল বিশ্বভারতীকে। শুধু ফেসবুক অ্যাকাউন্টই নয়, ট্যুইটার এবং ইন্সটাতেও সক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে বিশ্বভারতী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকা জারি করে এই নির্দেশ দেওয়া হল। এর ফলে দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৃদ্ধি করা সহজতর হবে। এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে তাদের কৃতিত্বগুলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে ভাগ করে নেবে।

              বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব যথেষ্ট বেশি। এই মিডিয়ার মাধ্যমে শুধু দেশই নয়, গোটা বিশ্ব জানতে পারছে সব কিছু। বিশ্বভারতীতে প্রতি বছর সারা বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত  হয়ে থাকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়, বড়জোর কলকাতার বা রাজ্যের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাড়া তেমনভাবে দেশ বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই অনুষ্ঠানগুলি তুলে ধরার কোনো উপায় নেই।

সেই কথাকে মাথায় রেখেই মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতীর কাছে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিশ্বভারতীর সারা বছরের বেশ কিছু বড় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মশালা, বই প্রকাশ সহ পড়ুয়াদের নানান সামাজিক বিষয়ের যে সমস্ত কার্যকলাপ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে এই সোশ্যাল মিডিয়ায় আগে থেকে জানিয়ে রাখতে হবে। যাতে বিশ্বভারতীতে আয়োজিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে সকলে অবহিত হতে পারে।

পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানগুলি সম্পর্কে জানতে পারলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয়ের করা পোস্টগুলি নিজেদের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে দেশের অন্যান্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে উদ্বুদ্ধ করতে পারবে। ওই অনুষ্ঠানগুলি যখন অনুষ্ঠিত হবে, তখন তাদের ভিডিও, ছবি সব আপলোড করে দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাহলেই কাজ সম্পূর্ণ হবে।

             প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তথা শান্তিনিকেতন বিশ্বের দরবারে অত্যন্ত সমাদৃত এবং পরিচিত। এখানকার বিখ্যাত অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে পৌষ উৎসব, বসন্ত উৎসব, বর্ষামঙ্গল, হলকর্ষণ সহ কবিগুরুর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন অন্যতম। এই মূল অনুষ্ঠানগুলি ছাড়াও বছরভর প্রত্যেক ভবনের পড়ুয়াদের দ্বারা বিভিন্ন কার্যকলাপ করা হয়ে থাকে। সেই সমস্ত কার্যকলাপ এবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের সামনে চলে আসবে। যারপরনাই মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট খুশি বিশবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথা সেখানকার পড়ুয়ারা। পাশাপাশি যারা বিশ্বভারতীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের গুণমুগধ অথচ সব সময় অনুষ্ঠানের সময় সেখানে যাওয়া হয়ে ওঠেনা, তারাও যথেষ্ট খুশি হয়েছেন।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...