বিশ্বের সর্বোচ্চ বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে স্বীকৃতি পেল এই শহর

সঙ্গীত ও শিল্পে সমৃদ্ধ এই শহর বরাবরই দুর্লভ আর্কিটেকচারের জন্য বিখ্যাত। এবার আরও এক নয়া পালক সংযুক্ত হল ভিয়েনার মুকুটে।  পৃথিবীর সর্বোচ্চ বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে শীর্ষে উঠে এলো ভিয়েনার নাম। বুধবার, এমনটাই জানিয়েছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট

ইআইউ’র রিপোর্ট বলছে, দীর্ঘ সাত বছর ধরে বিশ্বের সর্বোচ্চ বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। এবার মেলবোর্নকে পিছনে ফেলে সেই দৌঁড়ে এগিয়ে শীর্ষস্থান পাকা করে নিল অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা।   

মূলত ৫টি বিভাগের জন্য বিশ্বের ১৪০টি শহরকে বেছে নেয় ইআইইউ। পরিবেশ ও সংস্কৃতি, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, যানবাহন পরিষেবা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিবেচনা করে শহরগুলিকে নম্বর প্রদান করে এই সংস্থা। সেখানেই, মেলবোর্নকে পিছনে ফেলে ১০০ এ ৯৯.১ নম্বর স্কোর করে ভিয়েনা, যা নিঃসন্দেহে সন্মানীয় স্থান। এই তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের মর্যাদা অর্জন করেছে মেলবোর্ন ও ওসাকা শহর। সেরা দশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে অস্ট্রেলিয়ান, কানাডিয়ান ও জাপানী শহরগুলি। উচ্চ অপরাধ সংখ্যা ও নিম্নমানের পরিকাঠামোর জন্য লন্ডন, নিউইয়র্ক ও প্যারিসের মতো বড় শহরগুলি সেরা দশে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে, মাত্রাতিরিক্ত বায়ূদূষণ, অনাকাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রা ও অনুপযুক্ত জল ব্যবস্থার কারণে আগের থেকে ছয় ধাপ নীচে নেমে গেছে দিল্লী। বিশ্বের ১৪০টি শহরের মধ্যে ১১৮তম স্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী। দিল্লীর পাশাপাশি দূষণের কারণে স্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে কায়রো, বর্তমানে ১২৫তম স্থানে রয়েছে এই শহর। এছাড়া এশিয়ান শহরগুলির মধ্যে তালিকার একেবারে নীচের দিকে স্থান পেয়েছে ঢাকা, করাচি, ত্রিপোলির মতো শহরগুলি।   

এ বিষয়ে এক ইআইইউ আধিকারিক জানিয়েছেন, “পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার শহরগুলি বিশ্বের সর্বোচ্চ বসবাসযোগ্য স্থান হিসেবে নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।“

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...