তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি দেশাচারের নিতান্ত দাস নহি। নিজের বা সমাজের মঙ্গলের নিমিত্ত যাহা উচিৎ বা আবশ্যক বোধ হইবে, তাহাই করিব, লোকের বা কুটুম্বের ভয়ে কদাচ সংকুচিত হইব না”।
এই মতই ঘুরে-ফিরে ধবনিত হল পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষ উদযাপনেও। বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উওমেন আয়োজিত বিদ্যাসাগর স্মারক বক্তৃতায় জহর সরকারের বক্তব্যে। বিদ্যাসাগর আসলে এক মহীরুহ মানব। অশিক্ষা, অন্ধকার, কুসংস্কারের সঙ্গে অনন্ত যুদ্ধে যিনি একাগ্র সৈনিক। যুক্তি, তর্ক, ন্যায়ের পরাক্রমে যিনি সদা পরাস্ত করেছেন নিয়মের জগদ্দলে আটকে দুর্বিনীত সমাজকে। অসহায়, আর্তকে আশ্রয় দিতে গিয়ে যত বাধাই সামনে আসুক তিনি অগ্নিশিখার মতো তেজবান থেকেছেন। উনিশ শতক তাঁর আলোতে উজ্জ্বল। সহস্র বছরের সেরা অগ্নিপুরুষ।
বিদ্যাসাগরের জন্ম জন্মের দ্বিশতবর্ষ উদযাপন হল বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উওমেনে। মহামারীর সাবধানতা বজায় রেখে এবছর উদযাপনের চেনা ছবিটা ছিল আলাদা। এদিন সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন কলেজের অধ্যক্ষা ড. রূপালী চৌধুরী। বিধি মেনেই বাকি অনুষ্ঠান হয় অন্তর্জাল মাধ্যমে। আয়োজন করা হয় একটি অনলাইন আলোচনাসভার। প্রকাশিত হয় দ্বি- শতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ ‘শুভকরী’। বিদ্যাসাগর স্মারক বক্তৃতায় বক্তব্য রাখেন জহর সরকার এবং ড. কৃষ্ণা রায়।
আন্তঃ কলেজ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয় এই মাধ্যমেই।