দ্বিশতবর্ষে বিদ্যাসাগর

বর্ণপরিচয়ের হাত ধরে যিনি আমাদের বাংলা জগতে প্রবেশাধিকার দিয়েছেন, তিনি অবশ্যই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আর্থিক দূরবস্থাকে কাটিয়ে উঠে নিজেই নিজের উদাহরণ সৃষ্টি করে সমগ্র জগতে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। বিভিন্ন রকম সমাজসংস্কারক হিসেবেও অগ্রণী ভূমিকার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। বাঙালির গর্ব এই মহাপুরুষের জন্ম দ্বিশতবার্ষিকী আগামী বছর হতে চলেছে। ২০১৯-এর ২০ সেপ্টেম্বর তাঁর দ্বিশতজন্মবার্ষিকী পালন শুরু হবে। টানা এক বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রকল্পের মাধ্যমে এই মনীষীর দ্বিশতবর্ষ উদযাপন করতে চলেছে রাজ্য। এই মর্মে ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার একটি বৈঠকে মিলিত হন শতবার্ষিকী কমিটির সদস্যরা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান সহ মোট ২২ সদস্যের কমিটি এদিন নানা ধরণের প্রস্তাব দেয়, যা পরবর্তী আলোচনায় চূড়ান্ত হবে। বিদ্যাসাগরের স্কুল অর্থাৎ মধ্য কলকাতার মেট্রোপলিটন স্কুলের সংস্কার করা হবে বলে জানান পার্থবাবু। সেখানে আলাদা ভাবে ইংরিজিহিন্দি মাধ্যমে পড়াশুনো চালু করা হবে বলে জানান তিনি। তাঁর সমগ্র কর্মকান্ড নিয়ে একটি আর্কাইভ, ওয়েবসাইট গঠন করা হবে এবং তাঁর ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র স্কুলে স্কুলে প্রদর্শনের প্রস্তাব-ও করা হয়েছে বলে খবর। কলকাতা ও সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগরের নামে চেয়ার করার প্রস্তাব এসেছে। উত্তর কলকাতায় অবস্থিত বিদ্যাসাগরের বসতবাড়িটিরও সংস্কার করবে রাজ্য সরকার। এমনই বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। তিনি বলেন এই প্রস্তাবগুলি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে, তিনি অনুমোদন দিলে তবেই সেগুলি বাস্তবায়িত করা হবে।

     তবে একথা অনস্বীকার্য, এইভাবে সারা বছর কিছু না কিছু অনুষ্ঠান ও প্রকল্প রূপায়নের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে সন্মান জানানো হবে, যা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...