অগস্ত্যকুড়াম অর্থাৎ অগস্ত্য মুনির বাসস্থান। কেরালায় অবস্থিত এই পাহাড়েই নাকি বাসস্থান ছিল অগস্ত্য মুনির। স্থানীয়দের তাই গোড়ায় নিষেধ ছিল কোন নারী যেন এই পাহাড়ে আরোহন না করে। ফলে এতদিন ট্রেকিং- এর সুযোগ পাননি কোন মহিলা ট্রেকার। লিঙ্গ বৈষম্যের বাধ ভেঙে এই পাহাড়ের চূড়ায় পা রাখলেন মহিলা ট্রেকার ধন্যা সানাল ।
সম্প্রতি কেরালা উচ্চ আদালত থেকে জানানো হয়, লিঙ্গের ভিত্তিতে আর কোন বৈষম্য করা যাবে না। এই রায়ের ভিত্তিতেই ধন্যা সানাল পা বাড়ান অগস্ত্যকুড়ামে পাহাড়ের দিকে। গত মঙ্গলবার সকাল ৭টায় ১৮৬৮ মিটার উচ্চ এই পাহাড়ের চূড়ায় আরোহন করেন তিনি। ট্রেকিং-এর সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেও সেভাবে কোন বাধা আসেনি বলে জানান ধন্যা। ট্রেকিং এর দাবিতে যে মহিলা ট্রেকিং সংগঠন আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন, ধন্যা সানাল এর এই জয়ে তারাও সন্তোষ প্রকাশ করেন। পাহাড় ট্রেকিং-এর ব্যাপারে ধন্যা জানান শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে এই যাত্রা খুব একটা অনুকূল হবে না।
শবরীমালা মন্দিরে মাকড়ভিলাক্কু উৎসব-এ ৪৭ দিনের ভিতর, প্রথম দিনেই পাহাড় ট্রেকিং এর জন্য আবেদন জমা পড়ে ১০০ জন ট্রেকারের। এদের ভিতর একমাত্র মহিলা ট্রেকার হলেন ধন্যা সানাল। পেশায় ইনফরমেশন সার্ভিস অফিসার ধন্যার জয়ে যেমন রেকর্ড গড়েছে তেমন লিঙ্গ বৈষম্য এর বাধাও হার মেনেছে।