মানুষের সৌন্দর্য্যের সাথে সাথে যে জিনিসটি সবার প্রথম পরিলক্ষিত হয় তা হলো উচ্চতা| আর এই উচ্চতা যখন কম হয় তখন স্কুল, কলেজ, অফিসকাছারী এমনকি রাস্তাঘাট সবজায়গাতেই সহ্য করতে হয় বাঁকা মন্তব্য| তাই ছোটবেলা থেকেই একজন শিশুর বাবা মা চিন্তিত থাকে শিশুর ওজন আর উচ্চতা নিয়ে| তাই অনেক ছোট বয়স থেকেই নানান খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুর উচ্চতা বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দেন তাদের পিতা মাতারা| স্কিপ্পিং করলে শিশুদের উচ্চতা তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়|
অন্যদিকে এমন কিছু সবজি পাওয়া যায় বাজারে যা খেলে স্কিপিং করার মতো একই ফল পাওয়া যায়| ভাবছেন তো যে কি বলছি? খেলে ওজন বাড়ে এটা জানা কথা কিন্তু খেলে উচ্চতা বাড়ে এ আবার কেমন কথা? কিন্তু আপনি ঠিকই পড়েছেন| সবজি খেয়েই উচ্চতা বাড়ানো যায় আর সেই পদ্ধতি আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব| প্রথমেই চলুন জানা যাক কি কি সব্জি খেলে উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে|
১) এই ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা পালন করে গাঢ় সবুজ রঙের সবজি যেমন পালং শাক, ব্রোকোলি, বাঁধাকপি প্রভৃতি সবজি| এইসব সবজিতে প্রাকৃতিক বোন নিউট্রিয়েন্টস বর্তমান| এইসব উপাদানগুলিতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী| প্রাকৃতিকভাবে হাড় শক্ত করতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অপরিহার্য|
২) উচ্চতা বাড়ানোর জন্য যে জিনিসটি প্রথম দরকার পড়ে তা হলো শরীর জুড়ে নতুন কোষের বৃদ্ধি| আর তার জন্য দরকার বেশি করে প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার| এই প্রোটিন পাওয়া যায় যথারীতি মটরশুঁটি এবং বিনস থেকে| এই ধরনের শুঁটি এবং বিনসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমানে ফসফরাস| এই উপাদান জিঙ্ক ডেফিসিয়েনসি রোধ করতে সাহায্য করে|
৩) উচ্চতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে উপকার দেয় বিভিন্ন স্টার্চযুক্ত সবজি| যে খাবার একজন মানুষ খাচ্ছে তার থেকে প্রয়োজনীয় ক্যালোরিটুকু নেওয়া উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য দরকার| স্টার্চযুক্ত সবজি শরীরে নতুন কোষের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে| আলু, বিট, রাঙা আলু প্রভৃতি তে স্টার্চ-এর পরিমান বেশি থাকে|
৪) এছাড়াও যেসব সবজি উচ্চতা বাড়াতে কাজে লাগে তা হলো, ঢ্যাড়শ| ঢ্যাড়শে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার গ্রোথ হরমনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে|