বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ গ্রামের জন্য উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার ডেবরার প্রশাসনিক সভায় এমনটাই ঘোষণা করেছেন তিনি। পর্ষদটির সম্ভাব্য নাম বীরসিংহ গ্রাম উন্নয়ন পর্ষদ। এ দিন সভায় এ নিয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, এই গ্রামের উন্নয়নের যাবতীয় খরচ উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত হবে।
জেলাশাসককে চেয়ারম্যান করে এই পর্ষদের বাকি সদস্যরা হবেন ঘাটালের মহকুমা শাসক। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও খড়ার পুরসভা প্রধান। বীরসিংহ গ্রামে ঢোকার মূল গেটটিকে বর্ণপরিচয়ের অ, আ, ই, ঈ থেকে ক, খ, গ বর্ণমালা দিয়ে সজ্জিত করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিদ্যাসাগর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ঘোষণায় খুশি বীরসিংহ গ্রামের মানুষ। গ্রামের বাসিন্দা তথা বিদ্যাসাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক উত্তম চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিদ্যাসাগরের জন্য বীরসিংহ গ্রামের এত উন্নয়ন হচ্ছে, গ্রামের বাসিন্দা হিসেবে আমরা ভীষণভাবে গর্বিত। এবার আলাদা করে বিদ্যাসাগর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি নির্মাণ করে মুখ্যমন্ত্রী যে সন্মান আমাদের দিলেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমরা খুবই খুশি।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মধ্যক্ষ বিকাশ কর জানিয়েছেন, বীরসিংহ গ্রামের জন্য এর চেয়ে আর কি বড় ঘোষণা হতে পারে। আমরা ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
বুধবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই ঘোষণার পর স্বভাবতই খুশির হাওয়া বইছে ঘাটাল জুড়ে। ঘোষণায় উচ্ছসিত ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দলুই বললেন, এই ঘোষণার প্রশংসা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমি একই সাথে অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। বীরসিংহ গ্রামের জন্য আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা অত্যন্ত বাস্তবোচিত। সমগ্র ঘাটালবাসীর পক্ষ থেকে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিদ্যাসাগর স্মৃতিমন্দিরের সম্পাদক তথা বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত বীরসিংহ ভগবতী বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শক্তিপদ বেরা জানিয়েছেন, আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে তিনি বীরসিংহ গ্রামকে নিয়ে এই ভাবনা ভেবেছেন। বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ গঠন খুব বড় একটি পদক্ষেপ। আমরা এটাই চেয়েছিলাম। আশা করছি বীরসিংহ গ্রাম এবার গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে উঠবে।