ছবির নাম ‘ভাল মেয়ে খারাপ মেয়ে’। এখানে কে ভাল আর কে খারাপ তা জানতে হলে দেখতে হবে সুচিত্রা ভট্টাচার্যর গল্প অবলম্বনে তমাল দাশগুপ্ত পরিচালিত এই ছবি।
গল্পের খানিকটা আঁচ পাওয়া গিয়েছে এই ছবির। রিয়া একজন বার ডান্সার। মাত্র দশ হাজার টাকার মাসিক বেতনে সে তার স্বামীর ওষুধ, মেয়ের লেখাপড়া, সংসার এমনকী স্বামীর নেশার রসদটিও মেটায়। এ ভাবেই চলে তার দিন। এহেন রিয়া একদিন গণধর্ষণের শিকার হয়। খবরটা চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। নারীবাদী সংগঠনের নেত্রী সীমা রিয়াকে আদালতের দ্বারস্থ হতে সাহায্য করে। খবরটা পড়া মাত্র বিষয়টি আদালতে তোলানোর সিদ্ধান্ত নেয় আইনজীবী সমীরণ। স্ত্রী উর্মি আর দশ বছরের ছেলে টুবলুকে নিয়ে সমীরণের সুখের সংসার। পেশাগত জীবনেও সে যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত। স্ত্রী ঊর্মিকে সে রিয়ার কেসটা লড়বে বলে জানালে ঊর্মি ফের সমীরণের প্রেমে পড়ে। সমীরণের বক্তব্য- “একজন সেক্স ওয়ার্কারেরও তার নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা জানানোর অধিকার রয়েছে।“ সমীরণের মহানুভবতা মুগ্ধ করে তাকে।
সমীরণের তৎপরতায় রিয়া সুবিচার পায়। সমীরণ রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠে। সাফল্যের জন্য বাড়িতে পার্টি দেয় সমীরণ। উপরমহলের বহু অতিথির আগমন হয় সমীরণের বাড়িতে। কিন্তু সেই পার্টিতে এক অন্য সমীরণকে চেনে ঊর্মি। যে সমীরণ শুধু নিজের মহিমা প্রচারের জন্য রিয়াকে বাঁচায়। কিন্তু রিয়ার প্রতি রয়েছে তার অপরিসীম ঘৃণা। সেদিনের সন্ধেবেলা ঊর্মি যে শাড়িটা পরেছিল সেটা রিয়ারই দেওয়া। আর সেটা জানতে পেরে সমীরণ ঊর্মিকে বলে- “তোমাকে এত বড় সাহস কে দিল একজন সেক্স ওয়ার্কারকে এই বাড়িতে ঢোকার অনুমতি দেওয়ার?” এক লহমায় ঊর্মি চিনে যায় সমীরণকে।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রীলেখা মিত্র, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, শিলাজিৎ, জয় সেনগুপ্ত প্রমুখ।
১৩ সেপ্টেম্বর সারা বাংলায় মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।