সুপুরিগাছের খোল দিয়ে তৈরী থালা-বাটি বিক্রি

পরিবেশের দূষণ রুখতে এবারে পৌষমেলায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৪০ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিকের তৈরী এবং থার্মোকলের তৈরী থালা-বাটি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে পৌষ মেলায়। তা কতটা মানা হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েই যায়, তবে যেটা এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য, তা হল এই পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিশ্বভারতীর কয়েকজন পড়ুয়া নিজেরাই তৈরী করে ফেললেন, সুপুরির খোল দিয়ে থালা-বাটি-ট্রে। পরিবেশবান্ধব এই থালাবাটি ১০বার ব্যবহার করা যেতে পারে। এই নতুন ধরণের বাসন এবারে পৌষ মেলার আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল।

      নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়, দ্বৈপায়ন সেন, দেবাশিস ঘোষ মিলে তৈরী করেছেন এই থালা। উত্তরবঙ্গ সহ আসাম থেকে সুপুরিগাছের খোল নিয়ে এসে তাকে বেশ কয়েকঘন্টা বেকিং সোডা মিশ্রিত জলে ভিজিয়ে রাখার পর সেগুলিকে তাপ দিয়ে বিভিন্ন রকম আকার দেওয়া হচ্ছে। ওই সব এলাকার সুপুরিগাছের খোল দক্ষিণবঙ্গের গাছগুলির তুলনায় বড় হওয়ায় থালা বানানোর জন্য সেগুলিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। নির্মাতাদের মতে, শালপাতা একবার ব্যবহার করেই ফেলে দিতে হয়, কিন্তু এই জিনিস একবার ব্যবহারের পর ধুয়ে নিলেই হবে। প্রায় ১০ বার ব্যবহার করা যাবে সুপুরির খোল নির্মিত থালাবাটিশুকনো খাবারের জন্য ব্যবহৃত হলে বহুদিন টেকসই হবে তা বলাই যায়। তাই নিজেদের উদ্যোগে হস্তশিল্পীদের পাশে বসে এই পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী সকলকে ব্যবহার করতে অনুরোধ করছেন পড়ুয়ারা।

dish-bowl

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...