বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্যতম একটি ‘রাখী বন্ধন’ উৎসব। রাখী উৎসব কি শুধুই ভাই আর বোনের? না তো। বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে কোনও বৃদ্ধাশ্রম কিংবা অনাথ আশ্রম বা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে গিয়েও সেখানকার মানুষদের হাতে রাখী পরান আজ অনেকেই। নার্সিংহোম-হাসপাতালেও এর চল আছে। তবে, আপাতদৃষ্টিতে দেখতে গেলে রাখী বন্ধন মানেই ভাই-বোনের উৎসব। তাই সহোদর কিংবা তুতো দাদা বা ভাইয়ের পাশাপাশি পাড়াতুতো দাদা কিংবা ভাইদের হাতেও রাখী বাঁধেন দিদি-বোনেরা। পাশাপাশি অফিস-কাছারি এমনকী শুটিং ফ্লোরেও চলে এই উৎসব। প্রত্যেকবারই শিল্পী-কলাকুশলীরা পেয়ে যান নতুন কোনও ভাই কিংবা বোনকে। এই বছর এর উদাহরণস্বরূপ ভাসছে এমনই একটি খবর। অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাখী পরালেন বকুল রায় অর্থাৎ ঊষসী রায়।
জিয়ো বাংলার প্রতিনিধিকে সেই রাখী বন্ধনের স্থির চিত্র পাঠালেন জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। বললেন- “বড় ভাল মেয়ে ঊষসী। ওর দাদা হতে পেরে সত্যিই ভাল লাগছে। বকুল যতটা চনমনে ঊষসীও ঠিক ততটাই। বাংলা টেলিভিশনের সম্ভাবনাময়ী মেয়ে সে। ওর জন্য আমার অনেক শুভকামনা রইল” তিনি আরও বলেন, "এক চ্যানেলের বর্ষবরণ উৎসবে আমাদের আলাপ। খুব ভাল মেয়ে। সবথেকে বড় কথা গুরুজনদের সম্মান করতে জানে। ওর কাজ আমি দেখেছি। খুব সম্ভাবনাময়ী ঊষসী। পরশু ঊষসীই আমাকে বলল রাখী পরাবে। সত্যি বলছি আমি লোভটা সামাল দিতে পারিনি। পরে নিলাম। একটা খুব ভাল মেয়ের দাদা হলাম।"
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে আরও এক দাদার সান্নিধ্যে এসেছিলেন বকুল রায়। ‘বকুল কথা’ ধারাবাহিকের একটি পর্বে ধরা দিয়েছিলেন ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’ সৌরভ গাঙ্গুলি। ঊষসীর অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনিও।