ভাত ঘুমের আশ্চর্য গুণ

রবিবার দুপুরে জমিয়ে মাছ ভাত খাওয়ার পর ভাতঘুম দিতে কে না ভালবাসে?  সারা সপ্তাহ কাজের পর একটা দিনের এই ঘুমটা কেউই মিস করতে চাননা| কিন্তু অনেকেই বলে থাকেন দুপুরের ঘুম শরীর খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়| সত্যিই কি তাই?

বাঙালি আর ভাতঘুম একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত| ডাক্তারদের দাবি, ভাতঘুম শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী| কারণ ভাতঘুমের ফলে শরীরে কর্টিসোল হরমোনের ক্ষরণের হ্রাস ঘটে| আর এই হরমোনের প্রভাবে মানসিক চাপ বেড়ে যায়| ভাতঘুমের ফলে এই হরমোনের ক্ষরণ হ্রাসের ফলে মানসিক চাপ ও কমে যায়|

নানা গবেষণা থেকে প্রমানিত হয়েছে, ৪০ মিনিটের একটি ভাত ঘুম কোনো মানুষের ক্লান্তি কাটিয়ে তার কর্মক্ষমতা ১০০% বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে| তাই ডাক্তাররাই বলেন, দুপুরে ভাত খাওয়ার পরে অন্তত ২০ মিনিট যদি ঘুমিয়ে নেওয়া যায় তাহলে হারিয়ে যাওয়া ক্লান্তি আবারও ফিরে আসে|

এই ২০ মিনিটের ঘুম আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে| আবার এই ২০ মিনিটের ঘুমই মানুষের সৃজনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে| এই ২০ মিনিটের ঘুমের ফলে আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয় আরও সজাগ হয়ে ওঠে ফলে কাজের মান উন্নত হয়|

নানা গবেষণা থেকে এটাও প্রমানিত হয়েছে যে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তবাহিকাগুলির মধ্যে দিয়ে রক্তের প্রবাহকে মসৃন করে ভাতঘুম| অনিদ্রার ফলে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ| গবেষণা থেকে প্রমানিত হয়েছে অনিদ্রার কারণে আসলে কোষের মৃত্যু ঘটতে শুরু করে| এর ফলে মূলত ফুসফুস, যকৃত এবং ক্ষুদ্রান্ত্র বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে|

ভাতঘুমের ফলে পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরণ হরমোনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে| কম ঘুমের ফলে শরীরে গ্রোথ হরমোনের পরিমাণও কমতে থাকে| দিনের বেলায় একটুসময় ঘুম এই হরমোনের পরিমানে ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে|

তাই দুপুরবেলা জমিয়ে মাছের ঝোল ভাত খাওয়ার পর ২০ মিনিটের জন্য ঘুমিয়ে নিন| কাজের জায়গায় থাকলে অবশ্য এর প্রশ্ন ওঠেনা কিন্তু বাড়িতেই যাঁরা থাকেন, তারা অবশ্যই এই পদ্ধতিটি ফলো করুন| 

 

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...