গরমের সূত্রপাতের সাথে সাথেই যে জিনিষটা বাঙালির পাতে পাতে ঘুরে বেড়ায় তা হলো সজনে ডাঁটা| নিমপাতা নিয়ে বেগুনের তরকারী, শুক্তো, ডাঁটাভাজা প্রভৃতিই গরমকালের সেরা খাবার বলে বিবেচিত হয়| নিমপাতার সাথে সজনে ডাঁটার মেলবন্ধনে মানুষ যতটা সুস্থ থাকে সেরকমই সুস্থ থাকে তার পাতা খেলেও| ডাঁটার সাথে সাথেই সজনে পাতা ও সজনে ফুল সবটাই স্বাস্থ্যগুনে পূর্ণ|
বহুযুগ আগে থেকেই সজনে গাছের নানা অংশ চিকিত্সা বিজ্ঞানের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে| আজ আমরা এই সজনে পাতার উপকারিতা নিয়ে কিছু আলোচন করব|
মরিঙ্গাগণভুক্ত, বৃক্ষজাতীয়এবং গ্রীষ্মকালীন একটি উদ্ভিদ হল এই সজনে| আমরা গাছের যে অংশটি ডাঁটা হিসেবে খাই, সেটি আসলে সজনে গাছের ফল| এছাড়াও এই সজনে গাছের পাতা ও ফুল মানুষ রান্না করে খেতে পছন্দ করে থাকে| সজনে পাতা যা আসলে সজনে শাক হিসেবে বেশি পরিচিত তা বিপুল পরিমানে ভিটামিন সি এর উত্স| জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম সজনে শাকে যে পরিমান ভিটামিন সি থাকে তা একটি কমলা লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এর থেকেও বেশি|এতে রয়েছে দুধের থেকে চার গুন বেশি ক্যালসিয়াম এবং দুই গুন বেশি প্রোটিন| এর ফলে রক্তাল্পতা, অন্ধত্বসহ নানা ভিটামিনের ঘাটতি সম্পর্কীয় রোগের ঔষধি হিসেবে কাজ করে|সজনে রক্তে থাকা কোলেস্টেরলের পরিমান নিয়ন্ত্রণেও সক্ষম| যে ৯টি এসেনসিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড খাদ্যের মধ্যে দিয়ে শরীরে প্রবেশ করাতে হয় তার সবকটিই এই সজনের মধ্যে বর্তমান| এটি শরীর থেকে অ্যানিমিয়া দূর করতে বিশেষভাবে সক্ষম|এটি শরীরের হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে একধরনের পুষ্টিবর্ধক হিসেবে কাজ করে| সদ্য মা হওয়া নারীদের জন্য সজনে বিশেষ উপকারী| তাই গরম পড়ার সাথে সাথে দুপুরের খাবারের তালিকায় যোগ করুন সজনের নানা পদ এবং সুস্থ থাকুন|