রাস্তার ধারে হাঁটতে হাঁটতে ভুট্টার দোকান দেখলেই দৌড়ে যাওয়া কলকাতার লোকজনের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। কিন্তু রাস্তার ধারের একটি খাবারে কি এমন স্বাদ থাকে যা দূর দূরান্ত থেকে লোককে ভুট্টার দোকানের চারপাশে টেনে আনে। নুন লেবু লাগানো ভুট্টা পোড়ার গন্ধ নাকে এলে জিভে জল না আসাটাই অস্বাভাবিক। কিন্তু জানেন কি এই ভুট্টাদানা আসলে এক একটি পুষ্টিকর দানা। চলুন জানা যাক কি কি বিশেষ গুন রয়েছে এই ছোট্ট ছোট্ট দানাগুলিতে।
প্রথমেই বলে রাখি, ভুট্টার মূল উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম হল কার্বোহাইড্রেট। এতে খুব কম পরিমানে প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে। বেশ ভালো পরিমানে ফাইবার ও উপস্থিত থাকে সেখানে। একটি ছোট্ট পপকর্নের ১১২ গ্রামের ব্যাগে প্রায় ১৬ গ্রাম মতো ফাইবার সঞ্চিত থাকে।
এবার আসা যাক প্রোটিনের কথায়। কর্নের বিভিন্নতার উপর নির্ভর করে বলা যায় ভুট্টায় থাকা প্রোটিনের পরিমান মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। ভুট্টা দানায় থাকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন হল জেইনস প্রোটিন। ভুট্টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমানে উপস্থিত থাকে এই প্রোটিনটি। এই প্রোটিনের পরিমান সবথেকে বেশি থাকলেও বিশেষ কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি থাকার জন্য প্রোটিনটি একটু কমজোরি হয়ে থাকে।
এক একটি ভুট্টার দানায় সঞ্চিত ফ্যাটের পরিমান হয় ৫ থেকে ৬ শতাংশ। ভুট্টা থেকে প্রাপ্ত তেলে যথাক্রমে ভিটামিন ই, ইউবিকুইনোন এবং ফাইটোস্টেরোলের পরিমান যথেষ্ট বেশি থাকে। ভুট্টার তেলে উপস্থিত এইসব উপাদান রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমান কমাতে সাহায্য করে।
ছোট্ট ভুট্টা দানার এতো গুন তা কি জানা ছিল আগে? হালকা পেট ভরানোর জন্যই হোক বা মুখরোচক বলেই হোক রাস্তার ধারে ভুট্টার দোকান দেখলে অবশ্যই একটি ভুট্টা কিনে নেবেন। তবে প্রতিদিন ভুট্টা খাওয়ার ফলে আবার হতে পারে কিছু শারীরিক সমস্যা। তাই রোজ না খেলেও মাঝে মধ্যে রাস্তায় ভুট্টা খেতে ইচ্ছে করলে খেতেই পারেন।