শীত পেরিয়ে বসন্তের আগমনের সাথে সাথে যে ফলটি বাজারে ছড়িয়ে যায় তার নাম হলো কালোজাম। কালো জামকে অনেকে কালো আঙুরের সাথে গুলিয়ে ফেললেও কালোজাম আর কালো আঙ্গুর কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা বস্তু। আজ আমরা কালোজাম খেলে কি কি শারীরিক উপকারিতা মেলে সে বিষয়ে আলোচনা করি.........
কালোজাম বা ব্ল্যাক পাম হলো মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। এই ফলটির এতো বেশি হেলথ বেনিফিট রয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ডায়রিয়া থেকে শুরু করে যকৃতের সমস্যা, আর্থ্ররাইটিস, অ্যাজমা প্রভৃতি রোগে বিশেষ উপকারী ভূমিকা পালন করে। পাচনতন্ত্র সংক্রান্ত নানা সমস্যা কালোজাম খাওয়ার ফলে কমে যেতে থাকে। কালোজামের কি প্রভাব রয়েছে ডায়াবেটিসের উপর চলুন জানা যাক..
শুধু কালোজাম ফল নয়, ফল এবং পাতা উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের উপর এই ফলটির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এই ফলটির মধ্যে এক অ্যান্টি-ডায়াবেটিস ধর্ম বর্তমান। কালোজাম স্টার্চকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রিত হয়। কালোজামের লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণে ডায়াবেটিক পেশেন্টরা রেগুলার কালোজাম খেলেও কোনো সমস্যা হয় না। প্রতিদিন কালোজাম খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত ইউরিনেশন এবং অতিরিক্ত জল তেষ্টা পাওয়ার লক্ষণ ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। শুধু পাতা বা ফল নয়। এই গাছের ছাল থেকে শুরু করে ফলের দানা সবটাই উপকারে ঠাসা। তাই কালোজামের প্রতিটি অংশ ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। কালোজামে সুক্রোজ একেবারেই থাকে না। আর এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে পারে না। কালোজামের ডানায় থাকা জাম্বলিন ডায়াবেটিসের উপর বিশেষভাবে এফেক্ট করে থাকে। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজকাল চিকিৎসকেরাও ডায়াবেটিস রোগীদের কালোজাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।