তিসি হলো তেল ও আঁশ উৎপাদনকারী একধরণের বিশেষ গুল্মজাতীয় উদ্ভিদের বীজ। মিশরে সর্বপ্রথম এই বীজের আঁশ দিয়ে লিনেন জাতীয় কাপড় তৈরীর চল হয়। এরপর থেকে সারা বিশ্বেই তিসি বা ফ্ল্যাক্স সিডের ব্যবহার শুরু হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিসি বললেই আমাদের তেলের কথা মাথায় আসলেও তিসির বীজ নানা দিক দিয়ে শরীরের নানা উপকার সাধন করে থাকে। তিসির ব্যবহার হার্টের রোগ থেকে শুরু করে স্ট্রোক, গ্যাস্ট্রিক এবং আলসার পর্যন্ত দূর হতে পারে। কিন্তু কিভাবে ব্যবহার করবেন এই তিসি চলুন আজ জানা যাক।
তিসি শরীর থেকে টক্সিনজাতীয় পদার্থ নিষ্কাশনে সাহায্য করে থাকে। তিসির ব্যবহারের ফলে খাবার হজম খুব ভালো হয় এবং শরীরের মেদ কমাতেও এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।যারা বিভিন্নধরনের নেশায় আবদ্ধ তাদের ক্ষেত্রে তিসি খুবই উপকারী। প্রতিদিন খাওয়ার পরে সেই ব্যক্তি যদি কয়েকটি করে তিসি বীজ নিয়ে চেবাতে পারেন তাহলে নেশা থেকে মুক্তির পথ প্রশস্ত হয়ে যায়। তিসি বীজ গ্যাস্ট্রিক, আলসার এমনকি অ্যাজমা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। তিসিতে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের সাথে লড়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে থাকে।জানা গেছে, তিসিতে থাকে ফাইটো অ্যাস্ট্রোজেনিক লিগ্যান্স নামক একটি উপাদান যা শরীরে ক্যান্সার কোষের গঠন প্রতিরোধ করে থাকে।এছাড়াও তিসিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট এবং ফাইবার।তাই হাই ব্লাড প্রেসার অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের জন্য তিসি খুবই উপকারী।আর তাই আজ আমরা হাই ব্লাড প্রেসারে তিসির উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।..............
উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে যাদের তারা সাধারণত চা বা কফি খেতে চান না। কিন্তু একধরণের চা-ই যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রভূত সাহায্য করে তা কি জানা আছে? তিসির নাম করলেই আমাদের মাথায় প্রথম যে শব্দটি আসে তা হলো তেল। কিন্তু না, এখানে তিসির তেলের কথা বলা হচ্ছে না। এখানে তিসি বীজের থেকে তৈরী চায়ের কথা বলা হচ্ছে।তিসি আমাদের হৃদপিন্ডকে সবল রাখতে সাহায্য করে থাকে।তাই তিসি দিয়ে বানানো চা খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ। কিন্তু কিভাবে বানাবেন এই চা? না, এই চা বানানো এমন কিছু শক্ত কাজ নয়। প্রথমে প্রয়োজনমতো জল ফুটিয়ে নিন। তার মধ্যে এক চামচ তিসি দিয়ে তা আবার পাঁচ মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিন। ব্যাস তৈরী তিসির চা। এই চা পান করার সময় এতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা জন্য অনেকধরণের ওষুধ সকলকেই খেতে হয়। তাই প্রথম থেকেই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। খাবারের পর শুয়ে না পড়ে হাঁটাহাঁটি করা অভ্যেস করুন। এতে হার্ট ভালো থাকে আর রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।