শ্রবনে চকোলেটের ভূমিকা

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা খুব কম বয়স থেকেই কানে কম শোনার সমস্যায় ভুগছেন। কানে কম শোনার মূল কারণ হলো, এক তো বয়স অন্যদিকে, একটানা বেশিদিন অতিরিক্ত জোরে শব্দযুক্ত পরিবেশে থাকা। মানুষ তখনই কানে কম শোনে যখন কানের মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম রোমগুলি নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও কানের মূল হাড় তিনটির মধ্যে যদি একটিতে কোনো সমস্যা হয় তাহলে কানে কম শোনার সমস্যা হতে পারে। জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন করলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হেয়ারিং এডের প্রয়োজন পড়ে।

সম্প্রতি এই শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া নিয়ে একটি গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একদল গবেষক সম্প্রতি জানিয়েছেন, বাকি জীবন হেয়ারিং এডের উপর নির্ভর করে যদি কাটাতে চান তাহলে চকোলেট খান। কিন্তু শ্রবণশক্তির উপর চকোলেটের প্রভাব কি তা কি জানা আছে? গবেষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা ৩৫৭৫ জন মহিলা ও পুরুষের উপর একটি পরীক্ষা চালান। সেই পরীক্ষায় দেখা গেছে, ৪০ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে যাঁরা চকোলেট খান তাঁদের শ্রবণশক্তি বাকিদের তুলনায় বেশি। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চকোলেটে থাকা কোকোর মূল উপাদান হলো পলিফেনল। চিকিৎসক থেকে শুরু করে গবেষক সকলের দাবি, এই পলিফেনলে থাকে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ধর্ম যা শ্রবণশক্তি বেশি দিন ধরে ঠিক রাখতে সাহায্য করে

তবে যেকোনো ধরণের চকোলেট খেলেই যে এরকম উপকারিতা পাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়। যেসব চকোলেটের মধ্যে ৭০ শতাংশ কোকো থাকে সেইসব চকোলেটই ইয়ার ইনফেকশন রোধ করা থেকে শুরু করে শ্রবণশক্তি ধরে রাখার কাজ খুব ভালো করে করে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, কোকোতে উপস্থিত থাকে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক। যা ইমিউনো সিস্টেমের দেখভাল করার সাথে সাথে হিয়ারিং লস রোধ করে।

যদিও ডার্ক চকোলেট প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা গেলেও চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত পরিমান ডার্ক চকোলেট খেলে আবার রক্তে শর্করার পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনার যদি ডার্ক চকোলেট খেতে ভালো লাগে তাহলেও ব্যালেন্স করে খাওয়া উচিত। আর যারা চকোলেট খেতে পছন্দ করেন না তারা যদি হেয়ারিং এড না নিতে চান তাহলে অল্প পরিমানে ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করুন।  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...