কর্পূর গাছের ডাল ও ছাল থেকে তৈরী হয় কর্পূর। কিন্তু বর্তমানে শুধু গাছের উপর ভরসা করেই বসে থাকছে না বিভিন্ন কেমিক্যাল বা ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থা। তারপিন তেল থেকে কৃত্রিমভাবে এখন কিন্তু তৈরী হচ্ছে কর্পূর যা নানা ঔষধি মলমে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই কর্পূর দিয়ে তৈরী প্রোডাক্ট সরাসরি ত্বকের উপর ঘষে লাগানো যায় বা এর গন্ধ ইনহেল করা যায়। উপকার দুই ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়| তবে তার আগে প্যাকেটের উপর যে সাবধানবাণী লেখা থাকে তা অবশ্যই পড়ে নেওয়া উচিৎ।
কর্পূর সাধারণত ব্যথা কমানো এবং ত্বকের জ্বালা ও চুলকানি কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও গোড়ালি ফাটা, ঠান্ডায় শুষ্ক ত্বকের সমস্যা, আর্থ্রাইটিস প্রভৃতি সমস্যার ক্ষেত্রেও সমান ভাবে উপকার দেয় এই কর্পূর। কিছু মানুষ কাশির দমক কমানোর জন্য কর্পূরের গন্ধ সরাসরি গ্রহণ করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে কাশি কমে গেলেও শরীরের অভ্যন্তরে মারাত্মক কোনো রোগ বাসা বেঁধে ফেলতে পারে। সাধারণ হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য কিছু মানুষ কর্পূরের ব্যবহার করে থাকে। শ্বাসকষ্টের সময় অর্থাৎ যখন অ্যাজমা অ্যাটাক হয় সেই সময় কর্পূরের গন্ধ শুঁকলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ কর্পূর শরীরের লোকাল ব্লাড ফ্লো-কে বাড়াতে সাহায্য করে।
এছাড়াও তেলের মধ্যে কর্পূর মিশিয়ে বুকে মালিশ করলে বুকে জমা কফ বের করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও অ্যাজমার জন্য যখন বুকে চাপ অনুভব হয় তখন তেলের মধ্যে কর্পূর মিশিয়ে সেই তেল বুকে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়।
কিন্তু এইসব ক্ষেত্রে কর্পুর ব্যবহার করার আগে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত| যেমন যে কর্পুরের গন্ধ যখন ইনহেল করবেন সেই কর্পুর যেন প্রাকৃতিক হয়| স্টিম ইনহেল করার সময় ১ টেবিলচামচের বেশি কর্পুর নেওয়া উচিত নয়| তেলের সাথে মিশিয়ে যখন কর্পুর বুকে বা পিঠে মালিশ করার জন্য নেন তখন খেয়াল রাখবেন তার পরিমান যেন কম হয় এবং সেই স্থানগুলিতে কোথাও যেন কাটাছেঁড়া না থাকে| কর্পুর ইনহেল করার পর বা ত্বকে কর্পূর ও তেলের মিশ্রণ মালিশ করার পর যদি জ্বালা বা অস্বস্তি অনুভূত হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।