কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ‘সিরাজ’ এবং ‘জবা’

কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের মোড় ঘুরতে চলেছে অন্যদিকে। তন্দ্রাকে অনেকদিন ধরেই সন্দেহ করতে শুরু করেছে জবা। এবার হাতে নাতে ধরা পড়েছে তন্দ্রা। তন্দ্রার মোবাইল ঘেঁটে অনেক রহস্যের উদ্ঘাটন করে ফেলেছে জবা। কিছুতেই আর তন্দ্রার চরিত্রের বদল ঘটছে না। তন্দ্রার সব চক্রান্ত যখন একে একে ধরা পড়তে শুরু করে তখন জবার প্রতি আরও প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে পড়ে তন্দ্রা। তন্দ্রাকে দমন করার একটাই উপায় তাকে সমূলে উৎখাত করা। এটা জেনেও তন্দ্রাকে বারবার ক্ষমা করে জবা।

এবার তন্দ্রাকে জব্দ করতে নিজের হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছে জবা। সে তন্দ্রার দিকে বন্দুক তাক করে। জবা গুলি ছোঁড়ার আগেই সঞ্জয় তার পিছন থেকে গুলি ছোঁড়ে। আর তাতে আহত হয় তন্দ্রা। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পুলিশের কাছে নিজেই ধরা দেয় জবা। সঞ্জয়ের বদলে জেলে যায় জবা। আর তন্দ্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

কী হবে এবার?  জবা কি আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবে শেষ পর্যন্ত? নাকি এখানেই শেষ হয়ে যাবে জবার লড়াই?

ওদিকে আমি সিরাজের বেগম’  ধারাবাহিকে প্রদর্শিত হয়েছে এক করুণ দৃশ্য। সিরাজের বাবার কাটা মাথা বাক্সতে করে উপঢৌকন হিসেবে পাঠিয়েছে পাটনার নবাব মুস্তাফা খাঁ। ফলে, প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে সিরাজ, আলিবর্দি খাঁ সহ মুর্শিদাবাদের অধিকাংশ মানুষ। মজা দেখছে মীরজাফর এবং ঘসেটি বেগম। আলিবর্দি খাঁ এবং সিরাজ রওনা দিয়েছে পাটনার উদ্দেশ্যে। লুতফা বারবার সিরাজের সঙ্গে যেতে চাইলে সিরাজ তার কথা মেনে নেয় না। সে লুতফাকে চেহেলসেতুনের মহিলামহলকে রক্ষা করার নির্দেশ দেয় লুতফাকে। লুতফা নাছোড়বান্দা। সে তার ছোটে নবাবকে কিছুতেই একা ছাড়তে রাজি নয়। বাধ্য হয়ে সে নানিজান সারফুন্নিসার দ্বারস্থ হয়। প্রথমে রাজি না হলেও পরে লুতফাকে মত দেয় সারফুন্নিসা বেগম। লুতফার হাতে সে তুলে দেয় তলোয়ার। এক পুরুষ সেনার বেশে সে রওনা দেয় পাটনার উদ্দেশ্যে। তার সঙ্গে যায় আশরফি, সোফিয়া সহ আরও অনেক জারিয়া। মুস্তাফা খাঁ- এর কাটা মুণ্ডু আনবেই সিরাজ। আর তাকে সাহায্য করতে ছদ্মবেশে শামিল লুতফা। এরপর? জানা যাবে আজ এবং আগামী পর্বগুলিতে।

কে আপন কে পর’ দেখুন সন্ধে সাড়ে ৭ টায়। ‘আমি সিরাজের বেগম’ দেখুন রাত সাড়ে ৯ টায়। স্টার জলসায়।   

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...