এখনও কোভিডের ভয় রয়ে গিয়েছে সবার মনে। সেই মারাত্মক অসুখের কবলে অনেকেই পড়েছিল। তবে এখন সেটা থেকে মুক্তি পেয়েছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু শোনা যাচ্ছে আবারও এক মারাত্মক অসুখ হানা দিতে চলেছে গোটা বিশ্বে। আবার কি সেই ভয়ঙ্কর রোগ আতঙ্ক হয়ে উঠবে?
শোনা যাচ্ছে, এই অসুখ নাকি কোভিডের তুলনায় প্রায় আরও বেশি ভয়ানক হতে চলেছে, প্রায় ২০ গুণ প্রাণঘাতী হতে চলেছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতর ঠিক এমনভাবেই সতর্কতা জারি করল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই মারাত্মক ভাইরাসকে ‘X’ বলে সম্মোধন করছে। জানা যায় ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে যে মারণ স্প্যানিস ফ্লু ছড়িয়েছিল, এবার তার সঙ্গে উপযুক্ত ভাইরাসকে X বলে সম্মোধন করা হয় ব্রিটেনের তরফে।
সম্প্রতি এই বিষয়ে ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডেম কেট বিংহাম জানিয়েছেন, “আরও বড় মহামারী প্রত্যক্ষ করতে হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। আর এর জন্য গোটা বিশ্বের কমপক্ষে পাঁচ কোটি মানুষের প্রাণ যেতে পারে। এই সম্ভাব্য মহামারীর নাম দেওয়া হয়েছে 'ডিজিজ এক্স'। এর আগে ১৯১৮-১৯ সালে ফ্লিয়ের সময় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।“
তিনি আরও বলেন, "এই ভাইরাসগুলির মিউটেশন সম্ভব। একাধিক ভয়াবহ ভাইরাস যেমন স্মলপক্স, ইবোলা, HIV প্রথমে পশুদের দেহে পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু, পরবর্তীকালে তা মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।“
২০২০ সালে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছিল কোভিড ১৯ রোগ, যা গোটা বিশ্ব জুড়ে ২.৫ মিলিয়ন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ‘ডিজিজ এক্স’ কথাটির মানে হল এমন একটি রোগ যা অতিমারি ঘটাতে পারে। কিন্তু এই রোগটির প্যাথোজেন কীভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তা এখনো জানা যায়নি।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের অধ্যাপক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মার্ক উলহাউস এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি এমন একটি জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে এখন এমন একটি সময় যে একটি অতিমারি সৃষ্টি করতে পারে।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (ইউকেএইচএসএ) প্রধান প্রফেসর ডেম জেনি হ্যারিস জানিয়েছেন যে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং চেষ্টা করছে যদি নতুন ডিজিজ এক্স বা একটি নতুন প্যাথোজেন পাওয়া যায় তাহলে তা মোকাবিলার জন্য অগ্রিম কাজ করে রাখছে।
তিনি আরও বলেন, “আশা করি আমরা এই নতুন মহামারিটি প্রতিরোধ করতে পারব। কিন্তু যদি আমরা না পারি সেকারণে আমরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন এবং থেরাপিউটিকস তৈরি করতে শুরু করেছি।“