প্রতি বছর কার্তিক মাসের ঘোর অমাবস্যার দিনে সারা শহর সেজে ওঠে আলোয়। ধূমধামের সঙ্গে পালিত হয় কালীপুজো ও দীপাবলি। আলোকসজ্জা ও আতসবাজির শব্দের মধ্যেই সারা রাত ধরে সম্পন্ন হয় মা কালীর আরাধনা। চলতি বছরের কালীপুজো তো এসেই গেল। মাত্র কয়েকটা দিন।
তবে, দক্ষিণ দিনাজপুর এলাকায় হয় এক অন্য ধরণের পুজো। একরাতেই মায়ের চক্ষুদান, পুজো ও বিসর্জন হয়ে যায়। আজ, এই পুজোর সমস্ত অজানা কথা জেনে নেব।
দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের ভীকাহারের এই বামাকালীর পুজোয় মেতে ওঠেন কালীভক্ত সহ স্থানীয়বাসীরা। তিনশো বছরের এই প্রাচীন কালী পুজোর প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু, কেন এই নিয়মে পুজো হয় মায়ের? কথিত আছে যে বহু যুগ আগে এক তান্ত্রিক সিদ্ধিলাভের জন্য এই মন্দির চত্বরে তন্ত্র সাধনা করতেন। পরে ওই তান্ত্রিককেই সেখানে সমাধিত করা হয় এবং তাঁর উপরেই গড়ে ওঠে মায়ের মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরেই পাশে দুর্গা মন্দির -সহ অনান্য দেবদেবীর মন্দির গড়ে উঠেছিল। তবে, এখন কালী মন্দির ছাড়া অন্য মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু, দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসা সেই সব ভক্তদের বিশ্বাস ও ভক্তি আজও অটুট।
স্থানীয়দের মুখে শোনা গিয়েছে যে আজও নাকি গভীর রাতে মন্দির প্রাঙ্গন থেকে ধূপ ও ফুলের গন্ধ পাওয়া যায়।
এই এলাকার বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তা হল সুভাষ সমাজদার নামক এক বেক্তি। তাঁর কথায়, আজও প্রথা মেনে বামাকালী মায়ের গায়ের রঙ ও চক্ষুদান হয় পুজোর রাতেই এবং পুজোর পরেই রাতের অন্ধকারে মাকে বিসর্জন দেওয়া হয়। তাঁর দাবি জাগ্রত মন্দির বাসিনী। জানা গিয়েছে, যে বামাকালী মায়ের কাছে ভক্তরা যা মানত করেন তাই পুরণ হয়।
শুধু এলাকা নয় জেলার সব প্রান্ত থেকেই মায়ের দর্শন ও পুজো দিতে আসেন ভক্তরা।