“শিশির ভেজা ঘাসের ছোয়া লাগছে যখন পায়ে,
শরৎকালের হিমেল বাতাস লাগছে যখন গায়ে,
চঞ্চল এই মন, বলে উঠছে বারংবার
একটি বছর পেরিয়ে, মা আসছে আবার।”
সত্যি দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল একটা বছর। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই শুরু হবে বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব।
জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠানে আমাদের স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল উন্নয়নী সংঘ পুজো কমিটির সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সম্পাদক জয় মুখার্জী, আর দুই জন সাধারণ সদস্য মোহোনা দে ও সুপ্রীয় দত্ত। সঞ্চালক মনীষার সাথে জেনে নিলাম তাদের পুজোর বিষয়ে। ৭০ তম বর্ষে পর্দাপন করল তাদের পুজো। তবে বিগত ৫ বছর ধরে সাবেকিয়ানা ছেড়ে থিম পুজোয় প্রবেশ করেছেন তারা।
থিম শিল্পী সুশোভন পালের, ভাবনায় একটু একটু করে প্রকাশ পাচ্ছে তাদের পূজা মন্ডপ। তবে উন্নয়নী সংঘের প্রধান উল্লেখযোগ্য বিষয় হল তাদের নবদুর্গা। প্রতি বছর থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নবদুর্গার আরাধনা করে আসছেন তারা। এই বছরও তার কোনো ব্যাতিক্রম হয় নি।
দ্বিতীয়ায় উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে তাদের দুর্গা পুজোর পথচলা। প্রতি বছরের মত এবছরও অষ্টমী ও নবমীর দিন থাকছে মহাভোজের আয়োজন, যাতে সামিল হতে পারেন সকল দর্শনার্থী। পুজোর কটা দিন সুরক্ষার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হবে মন্ডপ প্রাঙ্গনকে। পিজি হাসপাতাল থেকে আসা বিশিষ্ট দলের তত্ত্বাধানে থাকবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন্দ্র।
দমদম বা কবি সুভাষ গামী যে কোনও মেট্রোতে উঠে নামতে হবে কুদঘাট অর্থাৎ নেতাজি মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে হাঁটা পথেই পৌঁছে যেরে পারেন উন্নয়নী সংঘের পূজা মন্ডপে।