আর মাত্র কয়েক ঘন্টা তার পরেই শুরু হতে চলেছে আইপিএলের নতুন মরশুম। শনিবার বিকেল ৫টাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে রণদামামা বাজবে আইপিএল ২০১৮।পুরোণো রেকর্ড ভেঙে তৈরী হবে নতুন রেকর্ড। প্রথম ম্যচে মুখোমুখি চেন্নাই আর মুম্বাই। এই হেভিওয়েট ম্যচ দেখতে স্টেডিয়ামে ভির জমাবে দর্শকরা। কিন্তু এই ১০ বছরের পথচলায় অনেক ঘটনা ঘটেছে যা দর্শকদের অজানা। তেমন কিছু ঘটনার কথা জানানো যাক আপনাদের
১) সবাই জানে যে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী ছয় মারার রেকর্ড একমাত্র ক্রীস গেইল-এর। এই ক্যারিবায়ান বাহাতি ব্যাটসম্যান বাউন্ডারির থেকে ওভার-বাউনডারি বেশী মারেন। কিন্তু আপনারা জানেন কি সবচেয়ে বেশী ৬ মারার তকমা যদি গেইলের হয় তাহলে সবচেয়ে বেশী ৪ মারার তকমা কিন্তু যায় গৌতম গম্ভীরের কাছে। আইপিএল ইতিহাসে ৪৮৩টি ৪ মেরে শীর্ষ স্থানে তিনি।
২) আইপিএলের প্রথম মরশুমের প্রথম ম্যাচে ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ১৫৮ রান করে
নজিরবিহীন ঘটনা ঘটায় কলকাতা-র হয়ে খেলা ব্রেন্ডন ম্যাকাল্লাম। যার সুবাদে ২২১ রানের বড় স্কর পায় তারা। পরিবর্তে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮১ রানে গুটিয়ে যায় ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস। যানেন কি ম্যাক্কাল্লামের ১৫৮ রানের পর সেই ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বচ্চ স্কোর ছিল রিকি পনটিংয়ের করা ২০ রান।
৩) আইপিএলের ইতিহাসে সর্বচ্চ হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ড আছে তৎকালিন সানরাইজার্স হাদ্রাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্ণারের। ৩৬টি হাফ সেঞ্চুরি করে শীর্ষ স্থানে তিনি, ৩৫টি হাফ সেঞ্চুরি করে দ্বিতীয় স্থানে আছে গৌতম গম্ভীর।
৪) ২০১৩ সালে ৩১নম্বর ম্যাচে ব্যাট হাতে ক্রিস গেইলের রুদ্রমূর্তি রুপ দেখেছিল পুনে ওয়ারিয়ার্সের বোলাররা। মাত্র ৬৬ বলে ১৭৫ রান করে ২৬৩ রানের বড় স্কোর খাড়া করে আরসিবি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৩ রানে শেষ হয়ে যায় পুনের ইনিংস। জানেন কি এই ম্যাচে গেইল কটা বল বিট খেয়েছিলেন? সারা ম্যচে মাত্র ১৮টি বল বিট খেয়েছিলেন ক্রিস গেইল যার মধ্যে লিউক রাইট একমাত্র বোলার ছিলেন যিনি ৬টি বল বিট করায় গেইলকে।
৫) আইপিএলের মত ফর্মাটে এক ইনিংসে একজন বোলারের পক্ষে একাই ৬ উইকেট পাওয়ার ঘটনা খুব বিরল। ১০ বছরের ইতিহাসে মোটে দুজন এক ইনিংসে ৬ উইকেট পেয়েছেন। একজন সোহেল তানভীর অন্যজন কে? ২০১৬ সালে রাইসিং পুনে সুপারজায়েন্টস হয়ে খেলা তরুণ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। গুজরাট লাওন্সের বিরুদ্ধে ৬ উইকেট পান তিনি।
৬) এবার আসা যাক উইকেটরক্ষকের ব্যাপারে। আইপিএলের এই ১০ বছরের ইতিহাসে সর্ব্বচ্চ স্টাম্প আউটের রেকর্ড রবিন উথাপ্পার। ৩২ টি স্টাম্প আউক করে শীর্ষ স্থানে তিনি। ৩০ টি স্টাম্প আউক করে দ্বিতীয় স্থানে এমএস ধনী।
৭) পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বহু খেলোয়াড়রা আইপিএল খেলতে এসেছে। কিন্তু সেই তালিকায় জিম্বাবওয়ে থেকে মাত্র ৩ জন খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছিলেন আইপিএলে খেলার।
বলতে পারবেন সেই ৩ জন খেলোয়াড় কে কে? কলকাতার হয়ে খেলেছেন তাতেন্দা তাইবু আর মুম্বাইয়ের হয়ে খেলেছেন ব্রেন্ডন টেইলার। আর তৃতীয় জন হলেন রে প্রাইস, হায়দ্রাবাদের স্কোয়াডে থাকলেও খেলার সুযোগ পান নি তিনি।
৮) ১০ বছরের আইপিএল ইতিহাসে ১৭টি হ্যাট-ট্রিকে আছে। গড়ে প্রায় প্রত্যেক আইপিএল মরশুমে ১টি করে হ্যাট-ট্রিক আছেই। কিন্তু এর মধ্যেও একটি মরশুম গেছে যেটায় কেউ হ্যাট-ট্রিক করতে পারেন নি। বলতে পরবেন কোন মরশুমে সেটা? ২০১৫ সাল অর্থাৎ অষ্টম মরশুমে কেউ হ্যাট-ট্রিক পান নি।
৯) আন্তর্জাতিক স্থরে লাসিথ মালিঙ্গার ৩টি হ্যাডট্রিক থাকলেও আইপিএলে তার কোনো হ্যাট-ট্রিক নেই। ১৫৪টি উইকেট পেয়ে আইপিএলে সর্বচ্চ উইকেট পাওয়ার তকমা তার থাকলেও একটিও হ্যাডট্রিকও নেয় তার ঝুলিতে।
১০) ক্রিকেটের যে কোনো ফর্ম্যাটে আম্পায়ারের ভুমিকা অনেক।ঠিক মত ম্যাচ পরিকল্পনা করার গুরুদায়িত্ব থাকে তাঁদের ওপর।আর আইপিএলে এই গুরুদায়িত্ব সবথেকে বেশী বার নিয়েছে শ্রীলঙ্কার আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। ৮৭টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন তিনি। ৮৬ টি ম্যাচে আম্পায়রিং করে ধর্মসেনার পরেই আছে সুন্দারাম রাভি।