রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘সিজনস গ্রিটিংস’ বিশ্বব্যাপি প্রদর্শনে রাষ্ট্রসংঘ সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিল। লেখক পরিচালক রামকমল ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রতি সম্মান জানাতে এক বছর আগে ‘সিজনস গ্রিটিংস’ তৈরি করেন।
রাষ্ট্রসংঘের ‘ফ্রি অ্যান্ড ইকুয়্যাল’ ক্যাম্পেনের ‘সোশ্যাল কজ পার্টনার’ হিসেবে ছবি প্রদর্শনে সহায়তা দেবে। বিনামূল্যে এই ছবি দেখান হবে।
এটিই প্রথম ভারতীয় সিনেমা যা রাষ্ট্রসংঘের তরফে এমন সম্মান পেল।
ছবিতে অভিনয় করেছেন সেলিনা জেটলি, লিলেট দুবে, আজহার খান। এই ছবি দিয়েই বলিউডে ডেবিউ করতে চলেছেন অভিনেত্রী শ্রী ঘটক। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন অরিত্র দাস এবং শৈলেন্দ্র কুমার। কলকাতার বিভিন্ন অংশে ছবির শুটিং হয়েছে।
মা আর মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে ছবি। ছবিতে সেলিনা জেটলির মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন লিলেট দুবে। তাঁদের কথালাপের মাধ্যমেই উঠে আসবে এই সমাজ এবং সমকামী মানুষদের নানা দিক। তাঁদের বেঁচে থাকার গল্প। সেখানেই ছবির চমক।
ছবির পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছবির মুখ্য অভিনেত্রী সেলিনাই তাঁকে প্রথম ছবি রাষ্ট্রসংঘে দেখানোর ব্যাপারে বলে। যদিও তিনি খানিকটা ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্র সংঘ যে তাঁদের ছবিকে সহায়তা করবে, তাতে তিনি আনন্দিত। ঋতুদা নিশ্চয়ই খুশী হবেন, আশা তাঁর।
সেলিনা জেটলি এই খবরে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘তিনি গর্বিত, রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘ফ্রি অ্যান্ড ইকুয়্যাল’ ক্যাম্পেনের ‘সোশ্যাল কজ পার্টনার’ হিসেবে ছবি প্রদর্শনে সাহায্য দিতে রাজি হওয়ায়। ছবিই এমন ঐতিহাসিক সময়ে রিলিজ হয়েছে যখন সমকামীদের অধিকার নিয়ে একটার পর একটা গুরুত্বপূর্ণ রায় সামনে আসছে।’
অধিকার রক্ষায় সরকারী ভাবে খাতায়-কলমে আইন পাশ হলেও, সমকামী-উভকামী-রূপান্তরকামী মানুষদের নিয়ে সমাজে ট্যাবু থেকেই গিয়েছে। সেখানে পরিবর্তন আনা সহজ নয়। মানুষের ভাবনার পরিবর্তন আনার জন্য বারবার স্বর তোলা দরকার। এই সিনেমা সেই স্বর তোলার কাজটাই করবে।
পরিচালক ঋতুপর্ণ যে কাজ করে চেয়েছিলেন রামকমল সেই পথই অনুসরণ করেছেন।
এই বছর নভেম্বরে অস্ট্রলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত চেঞ্জিং ফেস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে।