আজ এমন এক শহরের কথা বলবো যেখানে গিয়ে বাস করলে পাওয়া যাবে দেড় লক্ষ টাকা। মনে হতেই পারে এ আবার কোন শহর! থাকলেই টাকা পাওয়া যাবে? এখানেই আছে রহস্য। এহলো আমেরিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কাছে অবস্থিত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন সমন্বিত এক শহর। কিন্তু টাকা দেওয়ার কারণ কি? জানবো সেই কথা।
করোনা ভাইরাসের তান্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে চলেছে গোটা বিশ্ব। লকডাউনের জেরে জেরবার অর্থনীতি। তার মধ্যে সংক্রমণের হার আমেরিকার বিভিন্ন শহরকে টালমাটাল করে তুলেছে। যদিও আমেরিকার চ্যাথাম কাউন্টির সাভান্না শহরে এই হার কিছুটা হলেও কম। মাঝে মাঝে করোনার রক্তচক্ষু খানিক উপেক্ষা করে লকডাউনের জের কাটিয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন শহর। যদিও পরিস্থিতি কিন্তু এখনো বিপদ সীমার যথেষ্ট উপরে। তাও কোনো কোনো শহর সেখানকার থমকে যাওয়া অর্থনীতির উন্নতির জন্য কর্মীদের দিচ্ছে আকর্ষণীয় প্যাকেজ।
সেরকমই প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সেডা। সাভান্না শহরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নতুন গতি দিতে সাভান্না ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সেডা)-র অধীনে বেশ কিছু নতুন শিল্প গড়ে তোলা হয়েছে। আর সেখানে কর্মীদের আকর্ষণ করতেই বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যপরিষেবা, এরোস্পেস ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির প্রচুর সংখ্যক অফিস খুলেছে এখানে।
প্রযুক্তি কর্মীদের এই শহরে আকৃষ্ট করতেই সেডার এই লকডাউন পরবর্তী প্যাকেজ। সেডার তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউন পরবর্তী সময়ে অন্য শহর ছেড়ে যেসব প্রযুক্তি কর্মীরা সাভান্নাতে কাজ নিয়ে আসতে চাইবেন, তাঁদের প্রত্যেককে দু’হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত দেওয়া হবে। বর্তমান ভারতীয় মুদ্রায় যা দেড় লক্ষ টাকা। আর তার কারণ হলো, এক শহর থেকে অন্য শহরে বাসস্থান বদল করতে প্রাথমিক কিছু খরচ হয়। ওই অর্থ বাসস্থান বদলের খরচ। এমনিতে থাকার জন্য সাভান্না অন্যতম সেরা জায়গা। ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকলেও শিল্পের উন্নতি ঘটাতেই এই পদক্ষেপ। তবে কর্মী ও কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধিতে এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অভিনব তাতে সন্দেহ নেই।