নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ভোটার পরিচয়পত্র বদলাতে পারে। ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচি (ইভিপি) এবং ভোটার তালিকা সংযোজন সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। হরিয়ানা, ঝাড়খন্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মহারাষ্ট্র বাদে বাকি সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নন স্ট্যান্ডার্ড ভোটার পরিচয়পত্র (এপিক) নম্বর বদল করে তা 'স্ট্যান্ডার্ড' ১০ ডিজিটের অক্ষর এবং সংখ্যা মিলিত (আলফানিউমারিক) করা হবে। সেটাই হবে ইউনিক নম্বর। কারন কোনও ভোটারের বাসস্থান বদল হলেও ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বর একই থাকবে। সেই কারণেই পরিচয়পত্রে ইউনিক নম্বর ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। নতুন ভোটার পরিচয়পত্র ১০ ডিজিটের করা হয়েছে। তাছাড়া ১২-১৩ বছর ধরে প্রথম পরিচয়পত্র পাওয়ার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১০ ডিজিটের আলফানিউমারিক নম্বর দেওয়া পরিচয়পত্রই পেয়েছেন ভোটাররা। শেষ দু'বছরে যাঁরা পুরোনো পরিচয়পত্র বদলেছেন, তাদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড নম্বরই দেওয়া হয়েছে।
পুরোনো পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে সাধারণত রাজ্যের নামের সঙ্গে বিধানসভা, লোকসভার নম্বরের সঙ্গে কয়েকটি সংখ্যা দিয়ে ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বর দেওয়া হচ্ছে। সেই ধরনের পরিচয়পত্রগুলিই বদল করা হবে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বর এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে তা কোনোভাৱেই নকল না করা যেতে পারে। সেই কারনে ১০ ডিজিট স্ট্যান্ডার্ড পরিচয়পত্রের ভাবনা কমিশনের। পশ্চিমবঙ্গে 'নন-স্ট্যান্ডার্ড' ভোটার পরিচয়পত্রের সংখ্যা দু'কোটির অধিক বলে জানানো হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।
তবে রাজ্য সরকারের ওপরেই এই ভোটার পরিচয়পত্র বদলের প্রক্রিয়া অনেকাংশে নির্ভরশীল। নির্দেশিকাতে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। বিপুল পরিমান ভোটার পরিচয়পত্র একসঙ্গে বদলাতে গেলে কেন্দ্রের প্রচুর অর্থ প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে। সেই অর্থ রাজ্য সরকারের তহবিল থেকেই দেওয়া হবে। তবে কমিশন থেকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হলেও বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ কিছু নেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।