কোনও কিছু শেষ হলেই কিন্তু সব শেষ হয়ে যায় না। বরং শেষের বিনাশ-এ থাকে নতুন এক শুরুর বার্তা। আর শেষ থেকে শুরুর এই বার্তা নিয়ে এবারের পুজোয় হাজির হতে চলেছে উল্টোডাঙা করবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় বাংলার নানা জায়গা থেকে হাজির হচ্ছেন নানা পুজো কমিটি। আর সেরকমই জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত হয়েছিল উল্টোডাঙা করবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা। সঞ্চালক শ্রেষ্ঠার সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে আড্ডা দিলেন কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, সহ-সম্পাদক সুশান্ত সাহা এবং কমিটির সদস্য সঞ্জয় কুন্ডু।
বেশিরভাগ ক্লাবই তাদের থিম পুজো শুরু করেছিল ২০০০ সালের পর থেকে, কিন্তু করবাগানের থিম পুজো বেশ আগে থেকে আরম্ভ হয়েছিল, সেই ১৯৯২ সাল থেকে। এইবছর তাদের পুজোর ৭২তম বর্ষে এক অভিনব থিম আনতে চলেছে উল্টোডাঙা করবাগান সার্বজনীন দুর্গোতসব কমিটি। এই বছর তাদের থিমের নাম সমাপ্তি। অর্থাৎ শেষ থেকে এক নয়া শুরুর কাহিনীকে থিমের আকারে তুলে ধরতে চেয়েছেন তারা।
আর পুজোর সময় কিন্তু একেবারে তোড়জোড় লেগেই থাকে সকলেই। কিন্তু পেটপুজো না করলে কি আর চলে? নবমীতে বিরাট এক প্রীতিভোজের আয়োজন করে বেশ ভালোরকমের খানাপিনার প্রচলন রয়েছে এই কমিটির পুজোয়, আর এবছরও তার অন্যথা হবে না। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের দেখার জন্য দ্বাদশীতে বিসর্জনের ব্যবস্থা করে থাকে তারা।
দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রোয় উঠে নামবেন শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে শ্যামবাজার ৫ মাথার মোড় থেকে নিউটাউনগামী কোনও বাস ধরে নামবেন মুচিবাজার স্টপেজে। নেমে একটু হাটলেই পেয়ে যাবেন উল্টোডাঙা করবাগান সার্বজনীন দুর্গোতসব কমিটির পুজোমন্ডপ।