দুই পেঙ্গুইনের গল্প

একজন সঙ্গী হারিয়েছে বছর দুই আগে। অন্যজনের সঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে সদ্য প্রাক্তন বছরে।
একজনের গায়ের লোম একটু বেশি ঘন আর কালো। অন্যজন একটু ফ্যাকাসে। কথা হচ্ছে দুই সাথীহারা পেঙ্গুইনকে নিয়ে।
প্রত্যেকদিন দিনের আলো নিভে গেলে দেখা করে দুই বন্ধু। হাত ধরাধরি করে চলে যায় আলো দেখতে। মেলোবর্নের ঝলমলে স্কাইলাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকে তারা। সম্প্রতি তাদের ছবিতে উচ্ছ্বসিত গোটা নেট দুনিয়া।
জার্মানির ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার টোবিয়া বামগার্টনার ফ্রেমবন্দী করে দুই বন্ধুকে।
পেঙ্গুইনের ছবি তোলার জন্য টোবিয়া অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট কিলডা ফেয়ারি পেঙ্গুইন কলোনিতে তিনরাত কাটিয়েছিলেন। আলো ব্যবহার করার সুযোগ ছিলনা, আরও নানা অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। কলোনির স্বেচ্ছাসেবকরা সাহায্য করেন টোবিয়াকে। তাদের থেকেই তিনি এই দুই পেঙ্গুইনের বন্ধুত্বের গল্প জানতে পারেন।

Penguins-body

দুই প্রেমিক-প্রেমিকার গল্প নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন টোবিয়া। তিনি বলেন, ওই পেঙ্গুইন কলোনিতে আরও অনেক পেঙ্গুইন ছিল। তারা নিজেদের মধ্যে খেলছিল, ছুটোছুটি করছিল, কিন্তু এই তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলাদা ছিল এই দুই পেঙ্গুইন। সব ভিড় পিছনে ফেলে স্থির ভঙ্গীতে তারা একে অপরের সঙ্গে মেলবোর্ন স্কাইলাইনের সামনে এসে দাঁড়ায়। বহুক্ষণ এভাবেই কাটিয়ে দেয়। যেন একে অপরের কাছে আশ্রয় আর নির্ভরতা খোঁজার চেষ্টা।
তারা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বন্ধুত্ব আর প্রেমের আসল সংজ্ঞাটা ঠিক কী হওয়া উচিত। অতিমারীর বিচ্ছেদের কালে তাদের ছবি আরও বেশি করে স্পর্শ করেছে নেটিজেনদের হৃদয়।
টোবিয়ার এই ছবি ২০২০-র ও ওশান ফটোগ্রাফির সেরার সম্মান।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...