সম্প্রতি রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে ত্বরান্বিত করতে বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, তা আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। আবার সামনে এলো এমনই দু'টি প্রকল্পের কথা। হুগলি জেলার 'সবুজ দ্বীপ' এবং নদীয়া জেলার 'পলাশি' কে কেন্দ্র করে গঠিত হতে চলেছে নতুন ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখন পিকনিক স্পট হিসেবে যথেষ্ট বিখ্যাত জায়গা সবুজ দ্বীপ। কিন্তু শুধু পিকনিক স্পট হিসেবেই নয়, পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে এই জায়গাকে পর্যটন দফতর, বলে জানান পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। পাশাপাশি নদীয়া জেলার পলাশী ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে যথেষ্ট সমাদৃত। এখানে ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে সুযোগ সুবিধা দিলে এখানকার গুরুত্ব স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। রাজ্য হেরিটেজ কমিশন এই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে যে, পলাশীর যুদ্ধের স্মারক হিসেবে এখানে একটি তোরণ তৈরী করা হবে। এছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলাকে সাজিয়ে তুলতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
সবুজ দ্বীপের পর্যটন কাঠামো তৈরির প্রথম ধাপ হিসেবে এই অঞ্চলে জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এখানে মূলতঃ দু'টি দ্বীপ রয়েছে। একটির আয়তন প্রায় ৫৫ একর এবং অপরটির আয়তন প্রায় ৪৪ একরের মতন। মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে এখানে পরিবেশ বান্ধব সাংস্কৃতিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১ কোটি টাকা খরচ করে এখানে অত্যাধুনিক কটেজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং ১০ শয্যার ডরমিটরি হোটেল তৈরী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে ‘গল্ফ টার্ফ’ তৈরিরও।
ইতিমধ্যেই মতিঝিলের সংস্কার, হাজার দুয়ারির সৌন্দর্যায়নের মত কিছু কাজ শেষ হয়েছে। উত্তরবঙ্গের গজলডোবায় সাংস্কৃতিক পর্যটন কেন্দ্র গঠন করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর। স্থানীয় হস্তশিল্পীদের তৈরী পণ্য বিপণনের সুবিধা সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।