বেঙ্গুলুরুর ডিসিপির পদে দুই তেরোর কিশোর

আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের গল্প তারা জানে না। ইচ্ছেপূরণ ঠাকুরের সঙ্গেও তাদের দেখা হয়নি। এমন কি ইচ্ছেবুড়ো সান্তাক্লজের সঙ্গেও দেখা হয়নি।

 এমনটা যে সত্যি হতে পারে তারা ভাবতেই পারেনি। তাই খাকি পোশাক আর টুপিটা পরে যখন চেয়ারে এসে বসছে আর উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকরা স্যালুট জানাচ্ছে তখন চমকে উঠেছিল বছর তেরোর মিথিলেশ আর মহম্মদ সলমন খান!

প্রতিমাসে রোগ যন্ত্রণা, কেমোথেরাপি আর নিয়মে বাঁধা ওষুধের জীবনে তাদের স্বপ্ন যে সত্যি হতে পারে তারা কল্পনাও করতে পারেনি।

বেঙ্গালুরু হাইস্কুলের দুই ছাত্র। মিথিলেশ লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া রোগে আক্রান্ত ও সালমান থ্যালাসেমিয়াতে আক্রান্ত। তাদের স্বপ্ন আইপিএস অফিসার হওয়ার। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্নপূরণে বড় বাধা মারণ ব্যাধির দাপট। 

 

তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে এগিয়ে এসেছিল বেঙ্গালুরু সাউথ ইস্ট ডিভিশন। ২ ঘন্টার  জন্য ডিসিপি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের। এই অভিনব উদ্যোগের পিছনে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

ডিসিপি হিসেবে তাদের ডিসিপির রুটিন ওয়ার্ক, কাজকর্ম এবং দায়-দায়িত্বও বোঝানো হয়। থানা পর্যবেক্ষণো করে তারা।   

বেঙ্গালুরু পুলিশের এই উদ্যোগের কথা টুইটার জানিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু সাউথ ইস্ট ডিভিশনের ডিসিপি আইপিএস অফিসার সি.কে.বাবা। তিনি জানিয়েছেন, "সাহসী শিশু যারা একটি কঠিন রোগের সঙ্গে লড়াই করছে এবং আমরা তাদের ইচ্ছাকে সত্য করে একটি ছোট ভূমিকা পালন করেছি, যদিও কয়েক ঘন্টার জন্য। তাদের খুশি দেখে আমরা সন্তুষ্ট হতে পেরেছি।"

বেঙ্গালুরু পুলিশের এই উদ্যোগের কথা জেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের প্রশংসা করেছেন বহু মানুষ। দুই শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করেছেন তাঁরা।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...