কোবিদ আর করোনা । সারা বিশ্ব এই নামে কাঁপলেও ভয় নেই ছত্তিশগড়ের ভার্মা পরিবারে। লকডাউনের বাজারে তাদের পরিবারে উৎসবের আমেজ!
সারা বিশ্ব যে নামে থরথরিয়ে কাঁপছে, সেই নামই এখন আনন্দের কারণ হয়ে উঠেছে প্রীতি ভার্মা আর বিনয় ভার্মার পরিবারে।
কোবিদ দাদা আর করোনা বোন। গত ২৭ মার্চ রায়পুরে ড. বি আর আম্বেদকর হাসপাতালে এক মিনিটের তফাতে জন্ম এই যমজ ভাই বোনের।
আধ ফোটা চোখ আর খুদে খুদে হাত- পা নেড়ে যখন তারা সাড়া দেয় অতিমারীর আতঙ্ক যেন নিমেষেই ভ্যানিশ!
দুঃসময় কাটার ক্ষণ গুনে চলেছে পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ। লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত। সংক্রমন রুখতে লক ডাউন ঘোষণা হচ্ছে একের পর এক দেশে। একটা মাত্র ভাইরাস। তাকে কাবু করতেই হিমশিম দশা। সেই জনপ্রিয় ভাইরাসের নামেই রাখা হল জোড়া নব জাতকের নাম! এমন নাম রাখার সব কৃতিত্ব অবশ্য আম্বেদকর হাসপাতালের চিকিৎসকর্মী আর নার্সদের দিয়েছেন খুদেদের বাবা-মা।
সদ্য মা- হওয়া প্রীতি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, লকডাউন ঘোষণা হওয়ার ঠিক দু'দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। প্রসূতি রোগীর জন্য বিশেষ যান পরিষেবা থাকলেও রাস্তায় বহুবার জিজ্ঞাসা বাদের মুখে পড়তে হয়। শিশুর জন্মের সময় বাড়ির আর কারও থাকার অনুমতি ছিল না। তারওপর যে কোনও মুহূর্তে সংক্রমিত হয়ে যাওয়ার ভয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি মোটেই সহজ ছিল না ।
শিশু দুটির জন্মের পর হাসপাতালে সবাই তাদের 'কোবিদ' আর 'করোনা' নামে ডাকতে শুরু করে। সেই নামই পাকাপাকি করার সিদ্ধান্ত নেয় শিশুদের পরিবার।
তাঁরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সব মানুষের যে লড়াই এবং নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা কতটা জরুরি এই কথাগুলো যাতে কোনদিনই ভুলে না যান 'কোবিদ' আর 'করোনা' সে কথাই তাঁদের বারবার মনে করিয়ে দেবে আগামী দিনে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মা এবং শিশুরা সকলেই সুস্থ আছে।