নেই কোনো নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারী ডিগ্রী, এমনকি নেই প্রথামাফিক কোনো পড়াশোনা| অথচ প্রতিটি গাছের গুনাগুন তাঁর নখদর্পনে| গাছপালা সম্পর্কে তাঁর জ্ঞানের বহর তাক লাহিয়ে দিয়েছিল ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের অফিসারদের| ভালোবেসে তাই এদেশের মানুষ তাঁর নাম দিয়েছেন ‘এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফরেস্ট’| দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে সমস্ত বাধা বিপত্তিকে পাশে রেখেই নিজের উদ্যোগে এক লক্ষেরও বেশি গাছ লাগিয়ে ফেলেছেন কর্ণাটকের আঙ্কোলা তালুক এলাকায়| কর্ণাটকের আদিবাসী হালাক্কি জনগোষ্ঠীর তুলসী গৌড়া। চরম দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে নিজের একক পরিশ্রমের সরকারি স্বীকৃতি পেলেন জীবনের প্রায় শেষপ্রান্তে উপনীত হয়ে| তবে এর আগে পেয়েছেন পেয়েছেন বহু সম্মান, বহু পুরস্কার। এবার সেই মুকুটে যুক্ত হল পদ্মশ্রীর পালক।
তবে এতকিছু এত সম্মান পাওয়ার পরও মাটির কাছাকাছি থাকতে চান, নিজের হোনাল্লি গ্রামে একটি ছোট্ট কুঁড়েঘরে থাকেন তিনি। একবারেই আড়ম্বরহীন জীবনযাপন| পরিবেশ রক্ষার চেষ্টায় সারাটা জীবন নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন| প্রথমে নিজের এলাকা, তারপর নিজের রাজ্য, তারপর অন্য রাজ্যে| এমনকি বনদফতরকেও সাহায্য করেছেন তার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান দিয়ে| বন দফতরের নার্সারির দায়িত্বভার সামলেছেন তুলসী দেবী| তবে সে চাকরি ছিল অস্থায়ী| তাঁর কাছে বনের গাছপালাই সংসার, আর প্রতিটি চারা গাছই তাঁর কাছে সন্তানের মত| এই নিয়েই বেশ আছেন তুলসী দেবী|