বৃক্ষ স্থানান্তর

গল্পের রয়েছে গাছের নাকি রাত্রে বেল অচল ফেরা করে নিজেদের জায়গা পরিবর্তন করে আবার ফিরে আসে স্বস্থানে। বাস্তবে তেমন হয় কিনা তার প্রমান না মিললেও এসব গাছেদের  যে প্রাণ রয়েছে তা নিয়ে প্রমানের কোন প্রয়োজন নেই। তাই সবুজ প্রাণ বাঁচিয়ে রাখতে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিল শান্তিপুরের বাসিন্দারা। এখানে  সাহিত্য পরিষদের একটি এক বিঘে জমিতে ভবন তৈরির মাঝে দাঁড়িয়ে ছিল একটি নিম গাছ, কাঞ্চন গাছ পলাশ গাছ এই গাছগুলিকেই রক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছেন শান্তিপুর বাসিরা গাছ না কেটে অভিনব পদ্ধতিতে প্রাপ্ত বয়স্ক গাছগুলিকে স্থানান্তর করার উদ্দেশ্যে এখানকার বাসিন্দারা বন দপ্তরের কাছে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেন।

সাহিত্য পরিষদের বর্তমান সম্পাদক জানিয়েছেন একেকটি বৃক্ষ একেকটি প্রাণ। গাছ স্থানান্তরের আবেদন জানানোর পরে ব্যাপারে একটি সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছেন তারা।  অভিনব পদ্ধতিতে গাছ চিরতরে নিধন না করে কিভাবে স্থানান্তর করে তা টিকিয়ে রাখা যায় ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনাও করেছেন তারা। বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতেই চলেছে বৃক্ষ স্থানান্তরের কাজ। নিয়ম নির্দেশ মেনেই শান্তিপুর থানার আশানন্দ পাড়ায় তিনটি গাছ স্থানান্তরিত হয়। তিনটি গাছ শান্তিপুর বাসীদের সাথে নির্মল ভাবে বেড়ে উঠুক তা নিয়ে আশাবাদী পরিষদের সম্পাদক।

গাছ যে এমন উপড়ে না ফেলে বিশেষ পদ্ধতিতে স্থান পরিবর্তন করে টিকিয়ে রাখা যায় এই দৃষ্টান্ত শান্তিপুর বাসীর কাছে প্রথম। শান্তিপুরের একজন পরিবেশ কর্মী জানান তারা সবসময় গাছ বাঁচিয়ে রাখার দিকে এবং আগামীতে এই দৃষ্টান্ত আরো পরিবেশ প্রেমী বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের কাছে অনুকরণীয়  হবে বলে আশা রাখছেন তিনি।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...